জুয়াড়ির কাছে তিনবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু কোনোবারই বিষয়টি আইসিসি এবং বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানাননি তিনি। ফলে এই অপরাধে সাকিব আল হাসানকে শাস্তি হিসেবে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি।
যদিও তিনবারের কোনোবারই ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি সাকিব। কিন্তু আইসিসির আইন অনুযায়ী, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর অথবা কোনো বিষয়ে সন্দেহ হওয়ার পরও বিষয়টা আকসুকে না জানালে শাস্তি পেতে হবে।। আর এ কারণেই শাস্তি দেয়া হয়েছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে।
তবে আইসিসির তদন্তে সহযোগিতা করায় ও বিষয়টি স্বীকার করে নেয়ায় দুই বছরের মধ্যে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা রহিত করে ক্রিকেটের এই সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
সাকিবের ওপর আইসিসির এই নিষেধাজ্ঞার খবর, পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই তোলপাড় ফেলেছে। ক্রিকেট খেলুড়ে সবগুলো দেশের গণমাধ্যমই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করছে। প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সাবেক এবং বর্তমান অনেক ক্রিকেটাররা।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনও সাকিবের বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ভন মনে করছেন সাকিবের ওপর আইসিসির দেয়া দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কম হয়ে গেছে। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর পড়ি এক টুইটে মাইকেল ভন বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের জন্য কোনো দয়া দেখানোর সুযোগ নেই। সে যেই হোক। বর্তমান সময়ের খেলোয়াড়দের সব সময়ই জানানো হয় যে, তারা কি করতে পারবে আর কি করতে পারবে না। কোন বিষয়ে সরাসরি রিপোর্ট করতে হবে, সেটাও বলে দেয়া হয়। …. দুই বছর একেবারেই যথেষ্ট নয়। অবশ্যই আরও লম্বা শাস্তি প্রয়োজন ছিল।’