চট্টগ্রামের জহুর আহম্মেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের দলের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিলো বিসিবি একাদশ। ৯ উইকেটে ২৮৯ রানে আফগানের ইনিংস ঘোষণার পর আজ মাত্র ১২৩ রানের গুটিয়ে গেলো সোহানের দল। আফগানরা দ্বিতীয় ইণিংসে ৩.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ১৪ রান তোলার পর দুই দলের অধিনায়ক সমঝোতার ভিত্তিতে ম্যাচ ড্র হয়।
বাংলাদেশের হয়ে আজ ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন এনামুল হক বিজয় ও সাব্বির হোসেন। কিন্তু লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ায় এই দুজনেই প্যাভিলনের পথে ফেরেন।
ব্যক্তিগত ৪ রানে শাফুর জাদরানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাব্বির। এরপর দলীয় ২৭ রানে রশিদ খানের করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে এল বি ডব্লিউয়ের শিকার হন বিজয়। বিজয় ৩৫ বল থেকে ১টি ছক্কা ও চারের মারে ১৯ রান করেন। বিজয় আউট হলেই লাঞ্চ বিরতিতে যায দুই দল।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে নাইম ও ফজলে রাব্বির কাঁধে ছিলো ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব। কিন্তু সেই ভরসার প্রতিদান দিতে পারেননি কেউই। রাব্বি ৮ ও নাইমের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।
দলীয় ৬০ রানে নাইমের বিদায়ের পর ২২ রানের জুটি গড়েন সোহান ও বোলিংয়ে চার উইকেটে নেওয়া আল আমিন জুনিয়র। আমিন ৫টি বাউন্ডারিতে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৯ রান তুলে চায়নাম্যান জাহির খানের বলে আউট হলে পঞ্চম উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ।
শেষের পাঁচ উইকেট নিতে মাত্র ৪১ রান খরচ করেছে আফগানরা। যেখানে সোহান ১৫ ও ফানদিন অনি ১৪ রান করলে বিসিবি একাদশ দলের সংগ্রহ কোনোমতে ১০০ পার করান।
বিবিসি একাদশ নিজের প্রথম ইনিংসে আফগান বোলারদের সামনে লড়াই করতে পেরেছে ৪৪.৩ ওভার। আফগানিস্তানের হয়ে পাঁচ উইকেট চায়নাম্যান জহির ৫ উইকেট নিয়েছেন ২৪ রান খরচায়। আর ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার রশিদ।
এর আগে ৯ উইকেট ২৮৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে আফগানিস্তান। তাদের হয়ে দুই উদ্ধোধনী ব্যাটসম্যান ইলসানাউল্লা ৬২ ও ইব্রাহিম জাদরান ৫২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট নেন।
বাকিদের মধ্যে হাসমাতুল্লা ২৬ নবী ৩৩ রান করেন। এছাড়া জাজাই ৩৫ ও কাইস ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বিসিবি একাদশের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল আল আমিন জুনিয়র। পার্টটাইম এই অফস্পিনার ৫১ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ৪৩ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন সুমন খান।