বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা গতকাল হঠাৎ করেই ধর্মঘটের ডাক দেয়। মিরপুরে এই ধর্মঘটে উপস্থিত ছিলেন সাকিব, তামিম সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ক্রিকেটার। তারা ১১টি দাবী জানিয়েছে যা না মানলে কোন ধরণের ক্রিকেটে ফিরবেনা এই তারকারা বলেই জানিয়ে দিয়েছেন।
এই ১১ দফা দাবীতে ছিলেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে মাশরাফি এখানে উপস্থিত না থাকলেও ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবীকে সমর্থন দিয়েছেন।
মাশরাফির কাছে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফি বলেন, হাজার বার এই প্রশ্নটা আমার মাথায় এসেছে। কেন আমাকে জানানো হলো না। অনেকেই জানতে চেয়েছে। কিন্তু আমি নিজেও জানিনা আমাকে কেন জানানো হয়নি।
মাশরাফি বলেন, আমি জানতাম না আজকে এমন কিছু হবে। যদি আমাকে বলত বা আমি জানতাম তাহলে আমিও সেখানে উপস্থিত থাকতাম।
তবে ক্রিকেটারদের সবকটি দাবী ন্যায্য উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, ক্রিকেটারদের মঙ্গলের জন্য দাবীগুলো মানা জরুরী। আমি মাশরাফি এই ১১ দফা দাবীর পক্ষেই আছি এবং থাকব।
মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রাঙ্গণে হয়ে গেল সাকিব, তামিম, রিয়াদ, মুশফিকসহ প্রায় ১০০ ক্রিকেটার নিয়ে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন। তবে এই বিষয়ে মাশরাফি জানানোই হয়নি বলে জানা গেছে ঘনিষ্ঠ সূত্রে। মাশরাফি এখনও অবসরে যাননি জাতীয় দল থেকে। তিনি এখনও নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ানডে দলকে। অথচ দিন শেষে ১১ দফা দাবি ছাপিয়ে কেন্দ্রবিন্দুতে মাশরাফি কেন ছিলেন না আজ!
মাশরাফির ঘনিষ্ঠসূত্র বলছে, আজকে ক্রিকেটারদের সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে মাশরাফিকে কিছু জানায়নি সাকিব-তামিমরা। মাশরাফি জানতেন না আজ এমন কিছু হবে। তিনিও জেনেছেন সংবাদ সম্মেলনের সময়। কিন্তু এমনটা কেন, এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে। তবে কি মাশরাফির জাতীয় দলের সাথে সেরকম সম্পর্ক তৈরী করতে পারেনি। এ নিয়ে উঠেছে নানারকম প্রশ্ন।
এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) মিরপুরে বিসিবির একাডেমি মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব ১১ দফা দাবি ঘোষণা করে আন্দোলনে নামেন। ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হিসেবে সাকিব জানিয়েছেন, ‘দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরণের ক্রিকেট কার্যক্রমে অংশ নেবেন না ক্রিকেটাররা।’ যেহেতু অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে বিশ্বকাপ আছে, তাই তাদেরকে এই ধর্মঘটের আওতায় রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সাকিব।