সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাদশ দলের বিদেশি ক্রিকেটারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবং দলের কম্বিনেশনের কারণে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি ম্যাচে হায়দরাবাদের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। বিদেশি তারকায় ভরপুর এই দলের একাদশে সুযোগ পাওয়া সহজ হবে না আগে থেকেই জানতেন সাকিব।
হায়দরাবাদের দুই বিদেশি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং জনি বেয়ারস্টোর এবারের আইপিএলে উদ্বোধনী জুটিতে রান যথাক্রমে ১১৮, ১১০, ১৮৫, ৬৪, ৩৩, ৭, ৭২, ৬৬ এবং ১৩৫। চারটি শতক ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটি এবারের আইপিএলে শুধুমাত্র হায়দরাবাদেরই রয়েছে। অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
এছাড়া এই দলের নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগস্পিনার রাশিদ খানও রয়েছে হায়দরাবাদ দলে। যিনি প্রতি ম্যাচেই বল হাতে রাখছেন অবদান। সাকিব ছাড়াও ডাগআউটে বসে থাকতে হচ্ছে মার্টিন গাপটিল, মোহাম্মদ নবি, বিলি স্টেনলেকের মতো বিদেশি তারকারদের।
‘পেশাগত দিক থেকে আমরা আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত। যেভাবে আমাদের বিদেশি ক্রিকেটাররা পারফরম্যান্স করেছে, আমাকে নেয়ার কোন সুযোগ ছিল না। আমি জানতাম এমনটা হবে। আমাদের যেই স্কোয়াড আছে, এখানে ওয়ার্নার, বেয়ারস্টো দলের ৬০-৭০ ভাগের মতো রান করে দিচ্ছিল।
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব বলেছিলেন ,
‘কেন উইলিয়ামসন অধিনায়ক এবং রশিদ তো রশিদই। এমন দলে জায়গা পাওয়া খুবই কঠিন। কিন্তু আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং সুযোগ পেলে দলের জন্য অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত হয়েছি,’
টুর্নামেন্টে হায়দরাবাদের প্রথম ম্যাচে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পাওয়া সাকিব ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪২ রান খরচায় ১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
এরপর আট ম্যাচ দলের বাইরে থেকেছেন তিনি। সুযোগ পেয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামার। ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি এই ম্যাচেও। তবে উইকেটের দেখা না পেলেও বল হাতে কিপটে বোলিং করেছেন তিনি, দিয়েছেন মাত্র ৬.৭৫ ইকোনমিতে রান।