রবিবার বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। থিসারা পেরেরার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চিটাগংকে তারা ১৮৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল। জবাবে চিটাগং ৪ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিলো। ৭৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে একাই জেতালেন মুশফিক। ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হন তিনি।
বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংয়ের হয়ে ঝড়ো ব্যাটিং দিয়ে শুরু করেন শাহজাদ ও দেলপোর্ট। উদ্ধোধনী জুটিতে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন তারা। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে সাইফুদ্দীন দেলপোর্টকে প্যাভিলনে ফেরত পাঠালে ৫৮ রানের জুটির অবসান ঘটে।
দলীয় ৬ রানের ব্যাবধানে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা ইয়াসিরকে (৪) ফেরান পেরেরা। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দলীয় ৭০ রানে শেহজাদকে প্যাভিলনে ফিরিয়ে কুমিল্লা শিবিরে স্বস্তি আনেন আফ্রিদি। ২৭ বল থেকে ৪৬ রান করে শেহজাদ। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক ও নাজিবুল্লাহর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় চিটাগং। তাদের ৪৭ রানের জুটিতে ম্যাচে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে তারা। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় নাজিবুল্লাহ ১৫ বল থেকে ১৩ রান করে মাহাদির শিকারে পরিণত হন।
পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে দলকে একাই এগিয়ে নিতে থাকেন মুশফিক। এ সময় ৩০ বল থেকে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন মুশফিক। দলীয় ১৬১ রানের মাথায় ১২ বল থেকে ১২ রান নিয়ে মোসাদ্দেক সাইফুদ্দীনের শিকারে পরিণত হলে ৬৪ রানের জুটির ইতি ঘটে।
মোসাদ্দেক ফিরে গেলেও ঝড়ো ব্যাটিং জারি রাখেন মুশফিক। দলীয় ১৯ ওভারের শেষ বলে আবারো আঘাত আনেন সাইফুদ্দীন। এ সময় ৪১ বল থেকে ৭৫ রান করা মুশফিককে ফিরিয়ে দেন তিনি। তার ইনিংটি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল। মুশফিক ফিরে গেলে অনেকটাই কুমিল্লার হাতের মুঠোয় চলে আসে ম্যাচ। শেষ ওভারে চিটাগংএর প্ররেয়াজন ছিল ৭ রান। তবে জটিল কোনো সমীকরণের আগেই ফ্রাংলিংক ডোসনের করা চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
কুমিল্লার হয়ে ৪৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন সাইফুদ্দীন। এছাড়া পেরেরা, মেহেদি ও আফ্রিদী নেন ১টি করে উইকেট।