সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জোড়া সেঞ্চুরি সত্বেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৫২ রানের ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে কেন উইলিয়ামসনের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে ৭১৫ রানে ইনিংস ঘোষণা দেয় নিউজিল্যান্ড। ৪১৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪২৯ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ফলে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
হ্যামিল্টন টেস্টের তৃতীয় দিন ইনিংস হারের শঙ্কা নিয়েই শেষ করেছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ৭১৫ রানের বিপরীতে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৪ রান করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা।
চতুর্থ দিনে সৌম্য ৩৯ ও মাহমুদুল্লাহ ২২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। দিনের প্রথম সেশনটা ভালো ভাবেই কাটিয়ে দেন তারা। যেখানে ৯৪ বল থেকে ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। এতে তিনি বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে তামিমের সঙ্গে যৌথ ভাবে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেন। অপরপ্রান্তে মাহমুদউল্লাহও দারুণ প্রতিরোধে এগিয়ে যান।
কিন্তু বিপত্তি বাধে ম্যাচের ৮১তম ওভারে এসে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লার সঙ্গে সৌম্যর ২৩৫ রানের জুটির সমাপ্তি হয়। এ সময় নতুন বল পেয়ে যেন স্বরূপে আবির্ভুত হন বোল্ট। তার একটি লেঙথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যর্থ হলে বোল্ড হয়ে যান সৌম্য। ফলে ১৪৯ রানে থেমে যায় তার ইনিংসটি। ১৭১ বল খেলে ৫টি ছক্কা ও ২১টি চার মারেন তিনি।
এরপর লিটন দাস (১) ও আবু জায়েদ রাহীকেও (১) বোল্ড করেন বোল্ট। মাঝে মেহেদী হাসান মিরাজের (৩) উইকেটটি তুলে নেন নিল ওয়াগনার।
৮ উইকেটে ৪২৮ নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। এ সময় মাহমুদউল্লাহ ২২৩ বলে ২১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪৫ রান করে দেড়শো রানের মাইলফলকে পৌছানোর অপেক্ষায় ছিলেন।
চা বিরতি থেকে ফিরে আসার পর বাকি দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ হয়ে লড়তে থাকা মাহমুদুল্লাহ দলীয় ৪২৯ রানে বিদায় নেন। ২২৯ বল থেকে ১৪৬ রানে সাইথির বলে আউট হন তিনি। ২১টি চার ও ৩টি ছক্কায় তার ইনিংসটি সাজানো ছিল। একই ওভারে ইবাদত হোসেনকে শূন্য রানে আউট করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ইতি টানেন সাউথি।
এর আগে টেস্টের তৃতীয় দিনে তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম উদ্ধোধনী জুটিতে ৮৮ রান তুলেছিলেন। তামিম ৭৪ এবং সাদমান করেন ৩৭ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৮ ওভারে একাই ৫টি উইকেট নেন বোল্ট। এছাড়া সাইথি ৩টি ওয়াগনার নেন ২টি উইকেট।