বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে প্রথম ব্যাট করে তিন ফিফটিতে ৩৩০ রান তুলল নিউজিল্যান্ড। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৩১ রান।
এদিন ডানেডিলে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। দলকে ভালো সূচনা এনে দেন মাশরাফি। দলীয় ২১ রানে মুনরোকে ৮ রানে ফিরিয়ে দেন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সেই ধাক্কা সামলে ওঠে নিউজিল্যান্ড। গাপটিল ও নিকোলস এ সময় ৩৮ রানের জুটির গড়ার পর প্রতিরোধ গড়েন সাইফ। গাপটিলেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তুলে নেন তিনি। তামিম বাউন্ডারিতে অসাধারণ একটি ক্যাচ নিলে ৪০ বল থেকে ২৯ রান নিয়ে প্যাভিলনে ফিরে যান তিনি।
তৃতীয় উইকেটে বড় রানের পার্টনারশীপ গড়েন টেইলর ও নিকোলস। তাদের ৯৮ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডকে বড় স্কোর গড়ার ভীত তৈরি করে দেয়। এ জুটি আরো বড় হওয়ার আগেই ৬৪ রান করা নিকোলসকে তামিমের হাতে ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান মিরাজ।
নিউজিল্যান্ডের দলীয় স্কোর দুইশো পেরুলে রুবেল তুলে নেন টেইলরের উইকেট। টেইলর ৮২ বল থেকে ৬৯ রান করায় ফ্লেমিংয়ের ৭০০৮ রান টপকে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে নিশাম ও টম ল্যাথাম ৬৫ রানের জুটি গড়ার পর আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। ২৪ বল থেকে ৩৭ রান করা নিশামকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ১৩ রানের ব্যবধানে অন্য ব্যাটসম্যান ল্যাথাম ৫৯ রান করে মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
তবে সপ্তম উইকেটে কিউইদের হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন গ্রান্ড হোম ও স্যানথার। শেষ ২১ বল থেকে তারা ৪৬ রান তোলেন। স্যানথার ৯ বল থেকে ১৬ এবং গ্রান্ড হোম ১৫ ল থেকে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। যা নিউজিল্যান্ডের স্কোর নির্ধারীত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানে পৌছে দেয়।
বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফি ৫১ এবং সাইফ ৪৮ রানে ১টি করে উইকেট নেন। বাকিদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজ। তিনি ৯৩ রানে ২টি উইকেট নেন। ৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে মিরাজ নেন ১টি উইকেট।