যদিও বাংলাদেশ এরই মাঝে ৭১ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে তবুও দুইশ রানের দেখা পায়নি একবারও। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ডটা কেন জানি বরাবরই খারাপ। এখন পর্যন্ত ৭১ ম্যাচ খেলে মাত্র ২১ জয় ও ৪৮ হরে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতার গড় মাত্র ৩০.৪৩ ভাগ। টেস্ট খেলুড়ে দল গুলোর মধ্যে ম্যাচ জেতায় জিম্বাবুয়েই শুধু মাত্র বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে। তারা মাত্র ২৫ ভাগ ম্যাচ জিতেছে। অদ্ভুত হলেও সত্যি পুচকে আফগানিস্তানের ৬৩ ম্যাচ খেলে ৪১ জয় ও ২২ হার নিয়ে ম্যাচ জেতায় সর্বোচ্চ গড় ৬৫.০৭ ভাগ।
ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম আগামীকাল রবিবার উড়াল দেবে শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর উদ্দেশ্যে। তার আগে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ শেষে দুই দিনের বিকেল-সন্ধ্যা ছোট্ট অনুশীলনের প্রথম দিন গেছে গতকাল শুক্রবার।
এখনকার সময়ে টি-টোয়েন্টিতে দলীয় স্কোর ২০০ রান যখন ডাল ভাত করে ফেলেছে বেশিরভাগ দল তখন বাংলাদেশ কেন পারছেনা। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যেয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২০০ এর কাছাকছি ১৯৩ রান করার সময় বাংলাদেশের হয়ে সেই ম্যাচে ঝড়ের সূচনা করেছিলেন যিনি সেই সৌম্য সরকারের কথায় জানা যায় শ্রীলংকাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ দেখা পেয়ে যেতে পারে অধরা ২০০ রানের।
সৌম্য বলেন, “শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সম্প্রতি আমরা ১৯০ করছি। শেষের দিকে ভালো না করার পরও এই রান হয়েছিল। আমরা যদি শুরু থেকে কিছু রান করতে পারি এবং মাঝখানেও রান আসে, এ ছাড়া বিগ হিটাররা যদি বড় কিছু ইনিংস খেলে ফেলতে পারে, তাহলে আশা করি দুইশর বেশি রান করতে পারব। এটা প্রথম ইনিংসে হোক বা দ্বিতীয় ইনিংসে, ২০০ করতে পারি আমরা।”
বাংলাদেশে দলের সাম্প্রতিক ফর্ম যদিও ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খুব একটা আশার জায়গা রাখছেন তবুও সৌম্য সরকার অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে চান আর ঠিকঠাক মতো পালন করে যেতে চান নিজেদের দায়িত্বটুকু।
সৌম্য আরো বলেন, “আমরা যদি আমাদের অবস্থান নিচে দেখি, তাহলে আগেই আমরা পিছিয়ে পড়ব। সেটি করার মানে নেই। আমি মনে করি, যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। ওই সময়ে যদি ভালো খেলতে পারি, তাহলে জিতব। কে কোথায় আছি, সেটা আগেই চিন্তা করলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। সেটা চিন্তা না করে কিভাবে নিজেদের কাজটা ভালো করতে পারি, সেটা নিয়েই চিন্তা করছি।”