ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহারের পরও কম বেশি বিতর্ক সব সময়ই থেকে যায়। অনেকই সময়ই দেখা যায় এটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দল দুটির একটি সন্তুষ্ট হতে পারে না। এবার ডিআরএস কাঠগড়ায় উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচ৷ যদিও এক্ষেত্রে ডিআরএসে ব্যবহৃত প্রযুক্তি নয়, বরং ডিআরএস নিয়ে আইসিসি’র নিয়মবিধিকেই বিভ্রান্তির জন্য দায়ি করা যায়৷
বুধবার প্রথম টেস্টের প্রথম ওভারেই ডিন এলগার আউট হওয়ার পরেই ক্রিজে আসেন হাশিম আমলা। ফার্নান্দোর করা প্রথম ডেলিভারি গিয়ে লাগে আমলার প্যাডে। এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন আম্পায়ার আলিম দার৷ এরপর শ্রীলঙ্কা দল নিজেদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে ডিসিশন রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে রিভিউ চেয়েও কোনও লাভ হয়নি। আম্পায়ার দার জানিয়ে দেন, ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে সেই আবেদন করেননি শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। আইসিসি-র টেস্ট প্লেইং কন্ডিশন-এর ৩.২.২ ধারা অনুযায়ী, বল ‘ডেড’ হওয়ার ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে রিভিউয়ের আবেদন করতে হয়। অথচ টিভি ধারাভাষ্যকাররা রিপ্লেয় দেখেন, রিভিউ চাইতে ১৩ সেকেন্ড সময় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই সময়ের হিসেব রাখা টিভি আম্পায়ার ইয়ান গোল্ডেরও এক্তিয়ারভুক্ত। দারের ভুল তিনি ধরিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তাও করেননি তিনি। বল ‘ডেড’ হয়ে যাওয়ার দশ সেকেন্ড পরে বোলার ও তাঁর অধিনায়কের কাছে মাঠের আম্পায়ার জানতে চান, তাঁরা রিভিউ চাইবেন কি না। দারকে এ দিন তাও করতে দেখা যায়নি।
আমলা পরিষ্কার এলবিডব্লিউ ছিলেন, যা পরে টিভি রিপ্লে-তে ধরা পড়ে। রিভিউ হলে টেস্টের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ০-২ করে দিয়ে চাপে ফেলে দিতে পারত শ্রীলঙ্কা। তাই বলাই যায় আলিম দারের অবদানে দ্বিতীয় জীবন ফিরে পান আমলা। তবে আমলা ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর লাকমালের বলে ক্যাচ আউট হয়ে মাত্র ৩ রানেই প্যাভিলনে ফিরে যান।
যদিও বিতর্কিত ডিআরএস সিদ্ধান্তের সত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৩৫ রানে অলআউট করে দেয় শ্রীলঙ্কা। ডি’কক ৮০, বাভুমা ৪৭, ডু’প্লেসি ৩৫ রান করেন৷ ফার্নান্ডো চার উইকেট নেন ৬২ রান দিয়ে। অপর মিডিয়াম পেসার কাসুন রজিতা নেন তিন উইকেট। জবাবে শ্রীলঙ্কা দিনের শেষে ৪৯-১। আমলা দ্বিতীয় স্লিপে কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিলে সেই আবেদনও নাকচ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গোল্ড সেই ভুল শুধরে দেন।