ক্রিকেটের মহিরথী সনাৎ জয়সুরিয়ার নাম শুনেননি এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। শ্রীলংকান এই ক্রিকেটার একাধারে যেমন ছিলেন স্বনামধন্য অল-রাউন্ডার,তেমনি ছিলেন শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের সেরা অধিনায়ক।তিনি শ্রীলংকার হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপও।
কিন্তু এই জয়সুরিয়াই নাকি ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন ক্রিকেট থেকে। আর এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।ক্রিকেট সম্পর্কিত যাবতীয় সব কর্মকাণ্ডে নিষিদ্ধ থাকবেন তিনি। আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়েই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তাকে। জয়সুরিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তিনি স্বীকারও করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে আইসিসি।
অভিযোগে জানানো হয়, শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক একটি সিম কার্ড লুকিয়ে ফেলেছেন। তদন্তের জন্য চাওয়া তার মোবাইল ফোনটিও দেরিতে জমা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে সম্ভবত দুর্নীতি সম্পর্কিত অনেক তথ্য ছিল।আইসিসির দু’টি দুর্নীতিবিরোধী কোড অমান্য করায় তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এই দুই বছর ক্রিকেট সংশ্লিস্ট কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারবেন না তিনি।
আইসিসি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আইসিসি দুর্নীতি দমন কমিশনের ২.৪.৬ আইন অনুযায়ী- আইসিসির কর্মকাণ্ডে সাহায্য না করে সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করায় ও সঠিক তথ্য জমা না দেয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আইসিসি দুর্নীতি দমন কমিশনের ২.৪.৭ আইন অনুযায়ী- তথ্য দিতে বিলম্বিত করা ও তথ্য নষ্ট করে ফেলার দায়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইসিসির মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘ক্রিকেটকে দুর্নীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা। এর জন্য সবাই সবার জায়গা থেকে আমাদের সাহায্য করা উচিৎ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশনকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। আশা করব, ভবিষ্যতে লঙ্কান ক্রিকেটে এমন কিছু ঘটবে না। আমরা এর জন্য আরও তদন্ত চালিয়ে যাব।’
জয়সুরিয়ার এই স্বীকারোক্তি এবং সাজার ঘটনা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে বড় ধাক্কা নিঃসন্দেহে। দীর্ঘদিন যাবৎ দেশটির ক্রিকেটে দুর্নীতি অনিয়মের নানা অভিযোগ উঠে আসছে।