চলতি বিশ্বকাপ আসরে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনো জয় অধরাই রযেছে সাউথ আফ্রিকার। জয় তো দূরে কথা কোনো ম্যাচে সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতািই করতে পারেনি তারা। এমন অবস্থায় দলটি দলটির সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের অভাব অনুভব করছে।
গেল বছরের মাঝামাঝি সমযে হুট করেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। যা পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। পরবর্তীতে চলতি বছর হুট করে অবসরের কারণ জানিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেছিলেন বোর্ডের চাপ থেকেই নিয়েছিলেন অবসর। তবে এখনও পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডধারী ডি ভিলিয়ার্স অভিমান ভুলে অবসর ভেঙে বিশ্বকাপ আসরে দলে ফিরতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু এখনো বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগে দাপটের সঙ্গে খেলা ডি ভিলিয়ার্সের প্রস্থাব প্রত্যাক্ষাণ করে আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। ডি ভিলিয়ার্সকে বিশ্বকাপের দলে নেওয়া নাকি নীতি বিরোধী হতো। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রধান নির্বাচক লিন্ডি জেন্ডি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাপারটা পরিষ্কার করা উচিত। যদি তাকে জাতীয় দলে ফিরতে হতো তাহলে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে হতো। কিন্তু সে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে প্রিমিয়ার লিগ খেলতে গিয়েছে। সে তখন বলেছিলো অবসরের সিদ্ধান্তে অটল আছে। আমরা যখন বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করবো তখন ডু প্লেসি ও গিবসন জানায় ও খেলতে চায়। এতে আমরা সবাই অবাক হই। সে যখন দল থেকে অবসর নেয় তখন একটা বড় শূণ্যস্থান তৈরি হয়েছিলো। আমরা এক বছর ধরে সে শূন্যস্থান পূরণ করার চেষ্টা করেছি। ‘
তিনি আরও বলেন,‘আমাদের অনেক ক্রিকেটার কঠোর পরিশ্রম করেছে। যারা বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ প্রাপ্যে ছিলো। তাকে দলে নেওয়া নীতি বিরোধী হতো। আমাদের দল, নির্বাচক কমিটি ও ক্রিকেটারদের প্রতি সত্ থাকা প্রয়োজন ছিলো। গত এক বছরে সে কখনোই বলেনি যে সে ফিরতে চায়। আমার কাছে যখন খবরটা আসে তখন তাকে দলে নেওয়ার কোনো সুযোগ ছিলো না। আমাদের স্কোয়াড তখন চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিলো। কেনো সন্দেহ নেই এবি বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কিন্তু সবকিছুর শেষে আমাদের নিয়ম মানতে হবে।’