শ্রীলঙ্কার কাছে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রাথমিক পর্বের ষষ্ঠ ম্যাচে ১০ উইকেটে হার নাকি মাশরাফির কাছে ফাইনালের আগে বাংলাদেশ দলের জন্য জেগে উঠার বার্তা হয়ে এসেছে।
“বলতে পারেন, আমরা খুবই বাজে ক্রিকেট খেলেছি। আমার মনে হয়, এটা বলাই ঠিক। আবার এটা বলতে পারি যে, একটা বাজে দিন গিয়েছে। আমি বলব, বাজে ক্রিকেট খেলেছি।”
“ফাইনালে আমাদের ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে। হয়তো এটা ফাইনালের আগে আমাদের জন্য ভালো একটা জেগে উঠার বার্তা ছিল। হয়তো আমাদের নার্ভ আরেকটু শক্ত হবে।”
আগামী শনিবার ২৭ এ জানুয়ারী ফাইনাল ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে প্রথম দুই ম্যাচ বোনাস পয়েন্ট সহ জিতে। তৃতীয় ম্যাচও বোনাস পয়েন্টসহই জিতেছিলো স্বাগতিকরা। এটি কী অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী করে ফেলেছিলো মাশরাফিদের?
“সত্যি কথা বলতে কি, কাল রাতে যখন মিটিং হয়েছে তখন বা আজকে সবাই যখন একসঙ্গে ছিলাম কারো ভেতর এমন দেখিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন থাকার (অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী) সুযোগ ছিল না, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তো না-ই।”
মাত্র ১১.৫ ওভারের ওপেনিং জুটিই জয় এনে দেয় লংকানদের যেখানে ২৪ ওভারে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও এমন হারে মাশরাফিদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই টলে যেতে পারে ধারণা করা যায় তবু মাশরাফিরা আগের তিন ম্যাচ থেকে নিতে চান আত্মবিশ্বাস।
“আত্মবিশ্বাস টলে যাবে কি না তা নির্ভর করে ব্যক্তির উপর। আমরা জানি যে, শ্রীলঙ্কা আমাদের হারাতে পারে। কিন্তু এভাবে আমরা হারব সেটা কেউই ভাবেনি। ড্রেসিং রুমের কেউই এটা বিশ্বাস করবে না যে, আমাদেরকে শ্রীলঙ্কা হারাতে পারে না। তবে শেষ তিন ম্যাচ ওইভাবে খেলার পর এভাবে হারব তা হয় না।”
“তিন ম্যাচের ওই পারফরম্যান্সের পর এই ম্যাচ নিয়ে মন্তব্য করা আসলে খুব কঠিন। ম্যাচের বিস্তারিত ব্যাপার নিয়ে ব্যাখ্যা করাও কঠিন। আমার মনে হয়, যেভাবে আমরা আগের তিন ম্যাচ খেলেছি সেভাবেই চিন্তা করতে হবে।”