হিরো আলম মানেই যেন মানুষের মুখে বাঁকা একটি হাসির রেখা। সবার চোখে বি গ্রেড টাইপের কমেডিয়ান হিসেবে হিরো আলমের পরিচিতি হলেও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে হিরো আলম এখন সবার কাছে অন্য পর্যায়ের মানুষ। হিরো আলম রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন এবং এমপি ইলেক্শনে নাম লেখাচ্ছেন এই গুঞ্জন মিডিয়ায় আসার পর অনেক সুশীল সমাজের ব্যাক্তিরা পর্যন্ত সরাসরি লাইভ টিভিতে তাকে কটু ভাষায় আক্রমণ করতে ছাড়েননি। কিন্তু নিজের লক্ষে অবিচল অল্প শিক্ষিত এই গ্রামের ছেলে তার স্থির করা লক্ষ্য থেকে এক বিন্দুও বিচ্যুত হননি এবং পরবর্তীতে সেই কটু কথা বলা নামকাওয়াস্তে সুশীল ব্যাক্তিদের মুখ থেকেও নিজের সম্বন্ধে ভালো ভালো কথা এখন প্রায়ই বলতে শুনছেন তিনি।
নিজের নাম যখন হিরো আলম তখন মাঝে মধ্যেই একটু হিরোগিরি না দেখলে তো খেলা জমেনা। এই মুহূর্তে নিজের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজের ব্যস্ততার মধ্যে থেকে সময় বের করে ঠিকই তিনি উপস্থিত বিপিএলে নিজের প্রিয় দলের সমর্থনে গ্যালারিতে। দারুণ ক্রিকেটপ্রেমী হিরো আলম আগে থেকেই একটু সুযোগ পেলেই স্টেডিয়ামে ছোটেন খেলা দেখার উদ্দেশ্যে। বিপিএল আসরে প্রিয় দল রংপুর রাইডার্স এর খেলা দেখতে এবং দলকে উৎসাহ দিতে আজও তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন শের-ই-বাংলার গ্যালিরিতে। আজ মিরপুরে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে এবারের বিপিএলে নিজেদের ৫ম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল মাশরাফিরা।
গ্যালারি থেকে কালের কণ্ঠকে মোবাইলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিরো আলম বললেন, “আমি উত্তরবঙ্গের ছেলে। নিজের মাটিকে ভালোবাসি। তাই রংপুর রাইডার্স আমার পছন্দের দল। গতবারও তাদের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ছিলাম। এবারও আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো। আমি চাই দলটি জিতে যাক। গতবারের মতো এবারও চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঘরে ফিরবো আশা রাখি। খেলা দেখতে খুব ভালো লাগে। প্রিয় দলের খেলা হলেই আমি স্টেডিয়ামে এসে দেখার চেষ্টা করি। আগামী খেলাগুলোও দেখবো ইনশাল্লাহ।”
আজ রবিবার দিনের প্রথম খেলায় রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর। চার ম্যাচের মধ্যে ২ ম্যাচ জিতে তারা পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বরে অবস্থান করছিলো। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে মিরাজের রাজশাহীর কাছে অল্প রানের ব্যবধানে হেরে এখন পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে অবস্থান করছে রংপুর। হিরো আলমের গ্যালারি থেকে সমর্থনও বাঁচাতে পারেনি মাশরাফির রংপুরকে। ৩ ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চিটাগং ২ এ আর ৪ ম্যাচ খেলে ৪ টিতেই জিতে সাকিবের ঢাকা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার ১ নং অবস্থানে।