বিশ্বকাপ আসরের দশম ম্যাচে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং করে ২৮৮ রানে অলআউট হয়েছে। শুরুর ব্যাটিং ধ্বসের পর এদিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলেছেন কুল্টারনাইল। এছাড়া স্মিথ করেন ৭২ রান।
টসে হেরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উদ্ধোধনী জুটিতে ব্যাট করতে আসেন অ্যারোন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার্। এই জুটিতে প্রথমেই প্রতিরোধ গড়লেন ওশান থমাস। তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে থমাসের শিকারে পরিণত হলেন ফিঞ্চ।
দ্বিতীয় উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ার্নার ও খাজা জুটি গড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এবার কটরেল তুলে নিলেন অন্য ওপেনার ওয়ার্নারকে। ৮ বল থেকে মাত্র ৩ রান করে হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
তবে অস্ট্রেলিয়রা সংকট এখানেই শেষ হয়নি। পরবর্তী ১২ রান তুলতে গিয়ে আবারো জোড়া উইকেট হারায় তারা। শুরুতে দলীয় ৩৬ রানে খাজাকে বিদায় করেন রাসেন। এরপর ম্যাক্সওয়েলকে শূন্য হাতেই ফেরান কটরেল।
মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারানো অজিদের হয়ে এ সময় কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্মিথ ও স্টনিস জুটি। তবে পঞ্চম উইকেটে এই উইকেটে ৪১ রান তোলার পর অস্ট্রেলিয়া শিবিরে পঞ্চম আঘাত হানেন ক্যারিবয়ান অধিনায়ক হোল্ডার। ২৩ বল থেকে ১৯ রান করা স্টনিসকে ক্যাচ আউট করে প্যাভিলনে ফিরিয়ে দেন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে চাপ মুক্ত করেন স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারি। তারা দুজনে ৬৮ রান যোগ করেন। দলীয় ১৪৭ রানে ক্যারির উইকেট তুলে নেন রাসেল। ৫৫ বল থেকে ৭টি বাউন্ডারিতে ৪৫ রান করেন তিনি।
ক্যারি ফিরে গেলেই সপ্তম স্মীথ ও কুলটার নাইল অসেন্ট্রলিয়াকে সাহস যোগান্ স্মিথ। তিনি ৭৭ বল থেকে হাফ সেঞ্চুরি করার পর ৭৩ রান করে থমাসের বলে আউট হন। তবে কুল্টারনাইল এদিন অস্ট্রেলিয়াকে লড়াই করার মতো পুজি এনে দেন।
তিনি ৬০ বল থেকে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৯২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে তিনি ব্রাথওয়েটের বলে ফিরলে ১ ওভার বাকি থাকলে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ২৮৮ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে থমাস , কটরেল ও রাসেল ২টি করে উইকেট নেন। ব্রাথওয়েট নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া হোল্ডার নেন ১টি উইকেট।