রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে পাকাপাকিভাবেই ফুটবলকে বিদায় জানালেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা রোনালদিনহো।
২০০৫ সালে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জেতা বার্সেলোনা ও এসি মিলানের সাবেক এই তারকা ২০১৫ সাল থেকে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি।
২০০২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য রোনালদিনহো ব্রাজিলের হয়ে ১০১টি আন্তর্জার্তিক ম্যাচ খেলে গোল করেন ৩৫ টি। ১৪ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে ২০০৬ সালে বার্সেলোনাকে জিতিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। মেসির ক্যারিয়ারের শুরুটা একপ্রকার তার হাত ধরেই হয়েছিল এবং ছিলেন তাঁর বড় ভাই, বন্ধু, পথপ্রদর্শক হিসেবে।
ইংলিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের কাছে রোনালদিনহোর ভাই এবং এজেন্ট রাবার্তো অ্যাসিস নিশ্চিত করেছেন যে ২০১৫ সালে ব্রাজিলীয় ক্লাব ফ্লুমিনেনসের হয়ে সর্বশেষ পেশাদারি ফুটবল মাঠে নাম রোনালদিনহো চিরতরে ছেড়েছেন ফুটবল। শেষবার তিনি মাঠে নেমেছিলেন গত জুলাইয়ে একটি প্রীতি ম্যাচে। আর সেখানে তিনি বলেছিলেন যে, পেশাদারি ফুটবলে ফেরার বয়স আর নেই তাঁর।
অ্যাসিস অবশ্য তাঁর ভাইয়ের ফুটবল থেকে পাকাপাকিভাবে সরে দাঁড়ানোর কথাটি বলেছেন ব্রাজিলীয় গণমাধ্যম ও’গ্লোবোতে লেখা এক কলামে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া বিশ্বকাপের পরপরই রোনালদিনহোর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। পেশাদারি ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার তিন বছরের মাথায় বিদায়ী সংবর্ধনা আয়োজিত হবে ব্রাজিলীয় তারকার জন্য।
আগস্টে এই বিদায়ী সংবর্ধনা আয়োজন করতে চান অ্যাসিস, ‘রোনালদিনহোর ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ। সে বিদায় নিতে যাচ্ছে। চলুন, আমরা রাশিয়া বিশ্বকাপের পর আগস্টেই তাঁর জন্য সত্যিকার অর্থেই মনে রাখার মতো বড় কিছু আয়োজন করি। আমরা ব্রাজিল, ইউরোপ ও এশিয়ায় এই আয়োজনগুলো করতে চাই। আর ব্রাজিলীয় ফুটবল দলের সঙ্গেও দারুণ কিছু আয়োজনের ইচ্ছা আছে।’
Not 90s, but here he is scoring THAT goal vs Chelsea in 2005. pic.twitter.com/xXK4QR5ppu
— 90s Football (@90sfootball) January 16, 2018
বর্তমান সময়ে মেসি রোনালদোর আবির্ভাবের আগে ফুটবল বিশ্বকে যে কজন মানুষ মন্ত্র মুগ্ধ করে রেখেছিলেন রোনালদিনহো তাদের মধ্যে অন্যতম। ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।
গ্রেমিওর হয়ে পেশাদারি ফুটবল শুরু করা রোনালদিনহো ইউরোপে খেলেছেন বার্সেলোনা, মিলান ও পিএসজিতে।
আর ক্যারিয়ারের শেষের দিনগুলো কাটিয়েছেন ফ্ল্যামেঙ্গো, অ্যাটলেটিকো মিনেইরো, কুয়েরেতারো ও ফ্লুমিনেনসের হয়ে। ক্যারিয়ারের পড়তি অবস্থায় ২০১১ সালে মিলানকে সিরি ‘আ’র শিরোপা জিতিয়ে প্রমাণ করেছিলেন তিনি তখনো শেষ হয়ে যাননি।
২০০৬ সালে বিশ্বকাপে চরমভাবে ব্যর্থতার পর উদ্দাম, বোহেমিয়ান জীবনে অভ্যস্ত রোনালদিনহো বিতর্কেও জড়িয়েছেন বিভিন্ন কারণে। অনেকে বলেন রোনালদিনহো যদি মাঠের বাইরের জীবনে লাগাম পরাতে পারতেন তাহলে হয়তো সর্বকালের সেরাদের ছোট তালিকায় সব সময়ই উচ্চারিত হতো তাঁর নাম।