খারাপ আলো ও বৃষ্টিতে ১৬ ওভার বাকি থাকতেই শেষ হলো ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। দিনের শুরুটা অস্ট্রেলিয়া বেশ ভালভাবে করলেও মধ্যাহ্নভোজের পর থেকে জাদেজা ও কূলদীপ জুটি ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উপর চাপ বজায় রাখলেন। দিনের শেষে স্কোর ২৩৬/৬। ২৮ রানে হ্যান্ডসকম্ব ও ২৫ রানে কামিন্স অপরাজিত আছেন। চার উইকেটের পুঁজি নিয়ে ভারতের চেয়ে অসিরা এখনও পিছিয়ে ৩৮৬ রানে৷
শনিবার সকালে বিনা উইকেটে ২৪ নিয়ে শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সকালের সেশনে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও উসমান খাওয়াজা ইতিবাচক ভাবে শুরু করেছিলেন। প্রথম উইকেট পড়ে ৭২ রানে। চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবের বলে চেতেশ্বর পূজারাকে ক্যাচ দেন খাওয়াজা (২৭)।
৪০ ওভারে এক উইকেটের বিনিময়ে ১২২ তুলে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া তারা। এসময় ক্রিজে মার্কাস হ্যারিস ব্যাট করছিলেন ৭৭ রানে। সঙ্গে ছিলেন তিন নম্বরে নামা মার্নাস লাবুশানে (১৮)।
লাঞ্চ বিরতি থেকে দ্রতু ৩ উইকেট হারায় অসিরা। ১২২ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করা দলীয় ১২৮ রানে সেট ব্যাটসম্যান হ্যারিস হ্যারিস (৭৯), চার নম্বরে নামা শন মার্শ (৮) রানে ফেরেন। এই দুটি উইকেটই তুলে নেন জাদেজা। তবে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মার্নাস লাবুশানে (৩৮) রানে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চতুর্থ ধাক্কা দেয় শামি। এ সময় তদের স্কোর ১৫২ রানে ৪ উইকেট।
পঞ্চম উইকেটে ট্র্যাভিস হেড ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব ৪০ রান যোগ করেন। তবে চা বিরতির আহে কুলদীপকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ট্র্যাভিস হেড (২০)। পাঁচ উইকেটে ১৯৮ তুলে চা বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।
চা বিরতির পর পিটার হ্যান্ডসকম্ব (২১) ও অধিনায়ক টিম পেন (৫) ক্রিজে নামেন। এই জুটি ভারতের সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। বিরতি থেকে ফিরেই ফের কুলদীপের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন৷ এ সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৬ উইকেটে ১৯৮ রান।
সপ্তম উইকেটে হ্যান্ডকম্বসে সঙ্গ দিতে আসেন প্যাট কামিন্স। এই দুই ব্যাটসম্যানের অপরাজিত ৩৮ রানের জুটিতে তৃতীয় দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। এই দুই ব্যাটসম্যানের উপরই অসিদের সিডটি টেস্টের ফলাফল অনেকটা নির্ভর করছে।
আজ ভারতের হয়ে ৬টি উইকেট ৫টি নিয়েছেন জাদেজা ও কুলদীপ। চায়নাম্যানের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন খোয়াজা, ট্রাভিস হেড ও টিম পেইন৷ বাকি তিনটি উইকেটের মধ্যে দুটি পেয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা৷ একটি উইকেট পেয়েছেন মোহম্মদ শামি৷