সাড়ে তিন বছর পর এবারের এশিয়া কাপে সুযোগ পেলেও দুটি ম্যাচ খেলার পরই বাদ পড়েছেন মমিনুল। আসলেই কি সুযোগটা পর্যাপ্ত ছিল? মুমিনুল হকের আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে একমত পোষণ করেন জাতীয় দলের অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
এবারেরএশিয়া কাপে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও তা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেননি মমিনুল। নিজের প্রিয় পজিশন তিন ও চার নম্বরে ব্যাট করেও গড়তে পারেননি ভালো কোনো স্কোর। দুই ম্যাচে তার স্কোর গুলি ছিল যথাক্রমে ৯ ও ৫।
মমিনুলের মতো ব্যাটসম্যানের দলে না থাকা আসলেই দুঃখজনক কারণ অতীতে বাংলাদেশের সাফল্যের একজন সফল কর্মী হিসেবে ছিলেন তিনি। গত শনিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাবিবুল বাশার মমিনুল সম্মন্ধে দেখালেন অন্য এক বাস্তবতা।
“মমিনুলের একটু দুর্ভাগ্য বলব, ওর জন্য আমার সহানুভূতি আছে। আমি মনে করি ওর ওয়ানডে ক্যারিয়ার কখনই শেষ হয়ে যায়নি। ওয়ানডেতে ওর দেওয়ার অনেক কিছুই আছে। কিন্তু এটা আমাদের সুযোগ কিছু ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়ার। এটির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ, নিউ জিল্যান্ড সফরের পর বিশ্বকাপ। তো এই জিম্বাবুয়ে সিরিজটা সুযোগ কিছু ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়ার।”
“যদি সাকিব-তামিম থাকত এই সিরিজে, তাহলে আমরা আরও খেলোয়াড় দেখতে পারতাম। কিন্তু এখানে আমাদের খুব একটা সুযোগ ছিল না। সেরা কম্বিনেশন ও অভিজ্ঞতার দিকে নজর নিয়ে দল সাজাতে হয়েছে। মমিনুল এশিয়া কাপে দুটি ম্যাচ খেলল, আমি বলব দুটি ইনিংস একজন ব্যাটসম্যানের জন্য যথেষ্ট নয়। তবে যদি ওই দুই ইনিংসে রান করত, তাহলে ওর জন্য ভালো হতো। যেহেতু রান করতে পারেনি আর আমাদের নতুন দুই-একজন ক্রিকেটারকে দেখতে হচ্ছে, তাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাদ পড়েছে।”
এশিয়া কাপের কিছুদিন আগে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সফরে মুমিনুল আনঅফিসিয়াল ওয়ানডেতে ১৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। হাবিবুল বাশার ছিলেন সেই সফরে এবং মুমিনুলের ব্যাটিং দেখেছেন বেশ কাছ থেকেই। আর তাইতো মুমিনুলের ব্যাটিংয়ের পরিবর্তন নিয়ে বেশ কৌতুহল জাগানিয়া একটি পর্যবেক্ষণ আছে এই নির্বাচকের।
“আমি সম্প্রতি ওর ব্যাটিং দেখেছি ওয়ানডেতে। ও এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন ব্যাটসম্যান। আমি নিশ্চিত নই, ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের ভাবনা ওর টেস্টের ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে কিনা। টেস্ট ম্যাচে কিন্তু সম্প্রতি ওর কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স আমরা পাইনি।”
“টেস্টে সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই, টেস্টে ওর ব্যাটিংটা আমাদের খুব দরকার। ওয়ানডে কিন্তু আমরা চালিয়ে নিতে পারছি, আমাদের বিকল্প আছে। কিন্তু টেস্ট মমিনুলের বিকল্প খুব কম। ঠিক জানি না, ওয়ানডের ভাবনা ওর টেস্টের পারফরম্যান্সের ক্ষতি করছে কিনা, যেটা আমরা একদমই চাই না।”
এই বছরের শুরুতে জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির পর ৩ টেস্ট খেলে ৬ ইনিংসে একটিও ফিফটি তো করতে পারেনইনি বরং তিনবার আউট হয়েছেন শূন্য রানে। তাইতো হাবিবুলের বলা কথাগুলো হয়তো মুমিনুলের জন্যও পজিটিভ কোনো চিন্তার পাথেয় হয়ে থাকতে পারে।