দুই দুইবার পিছিয়ে পড়ার পরও লিওনেল মেসির গোলে ম্যাচে ফেরে বার্সেলোনা। এমনকি বার্সার জয়সূচক গোলটিও আসে লিওনেল মেসির পা থেকেই। হ্যাটট্রিক করে এমন এক মাইলফলকে পৌঁছালেন মেসি যাতে খুব কম ফুটবলারই পৌছতে পেরেছে এযাবৎকালে। নিজের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অনন্য ৫০ তম হ্যাটট্রিক করে ফেললেন বার্সেলোনার প্রাণভ্রমরা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মেসি। শুধু গোল করেই বসে থাকার পাত্র মেসি নন। ম্যাচের ৯০ তম মিনিটে সুয়ারেজকে দিয়েও করিয়েছেন একটি গোল।
সেভিয়ার মাঠ থেকে বর্তমান স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা ৪-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে ফেরে। গত কয়েক ম্যাচে অনেকগুলো সহজ সুযোগ নষ্ট করে ফুটবল বোদ্ধাদের মনে জাগা প্রশ্ন “মেসি কি ফুরিয়ে গেলেন” এক হ্যাট্রিকেই নিশ্চিহ্ন করে দিলেন মেসি। সেভিয়ার মাঠে হ্যাটট্রিক করে সেভিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ গোল দেওয়ার রেকর্ডও গড়লেন মেসি এই ম্যাচেই। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৫টি গোল করেছেন এই বার্সা তারকা।
মেসির ভুল পাস থেকে বল পেয়ে নাভাসের গোলে ম্যাচের ২২তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। বল পেয়ে বেন ইয়েদেরকে বাড়ান কুইন্সি প্রোমেস। বেন আড়াআড়ি পাস দেন অধিনায়ক হেসুস নাভাসকে আর বুদ্ধিদীপ্ত এক কোণাকোণি শটে বার্সেলোনার জালে বল জড়ান এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। গোল শোধ করতে মাত্র চার মিনিট সময় নেয় বার্সেলোনা। মেসির দুর্দান্ত এক ভলিতে সমতা ফেরায় কাতালানরা।
তবে প্রথমার্ধের ৪২তম মিনিটে আবারো ভুল পাসে এগিয়ে যায় সেভিয়া। এবার টের স্টেগানের ভুল পাসে অর্থাৎ দুর্বল শট থেকে মাঝ মাঠে বল পেয়ে পাবলো সারাবিয়া গ্যাব্রিয়েল মারকাদোকে পাস দেন। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল ডি-বক্সের মধ্যে নিখুঁত এক কোনাকুনি শটে বার্সেলোনার জালে বল জড়ান। এবং, প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকে স্বাগতিকরা।
তবে বিরতি শেষ হয় আর মেসি শো যেন শুরু হয়! ৬৭তম মিনিটে সেভিয়া গোলরক্ষক টমাস ভাসলিচের দুর্বল শটে বল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। বল পেয়ে উসমান দেম্বেলে মেসির উদ্দেশ্যে বল বাড়ান। মেসি বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে ২-২ সমতায় ফেরান।
৮৫তম মিনিটে কার্লস অ্যালেনার শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে মেসির কাছে গেলে আলতো চিপে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে বার্সেলোনার জয়সূচক গোলটি করেন এবং নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। এরপর গোল শোধে মরিয়া স্বাগতিকরা কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার কারণে। বরঞ্চ ম্যাচের যোগ করা সময়ে মেসির নিখুঁত পাসে ডি-বক্সে বল পেয়ে আলতো শটে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ।