গেম চেঞ্জার’ নাকি লাইফ চেঞ্জার? শাহিদ আফ্রিদির আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’ তাঁর জীবনের অনেক কিছুই যেন পাল্টে দিচ্ছে। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের নানা অজানা কথা নিজের বইয়ে তুলে ধরেছেন তিনি। বই প্রকাশের আগেই তাই আলোচনার কেন্দ্রে আফ্রিদি।
কিন্তু এ বই যে তাঁর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে, তেমনটা একেবারেই বলা যাবে না। কারণ শোনা যাচ্ছে, সত্য ফাঁসের জন্য সেরার তকমা কেড়ে নেওয়া হতে পারে তাঁর। এমনকী আত্মজীবনীটি নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে এবার।
কোনও তারকার বই প্রকাশের আগে সে বইয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে চর্চা এখন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যতিক্রমী নন প্রাক্তন পাক অধিনায়কও। কিন্তু ইতিমধ্যেই তিনি যে সব ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন, তাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এবার তাই বইটি নিষিদ্ধ করা নিয়ে সিন্ধু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী। জানা গিয়েছে, ‘গেম চেঞ্জার’ বইটি প্রকাশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে আবেদন করেছেন আইনজীবী আবদুল জলিল খান।
অভিযোগ, বইয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। তাছাড়া নিজের আসল বয়সও যে লুকিয়েছেন তিনি, তাও জানা গিয়েছে এই বই থেকে।
বইয়ে বুমবুম ফাঁস করেছেন নিজের প্রকৃত বয়স। ১৯৮০ নয়, বরং তিনি জন্মেছিলেন ১৯৭৫ সালে। অথচ কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড রয়েছে তাঁর নামের পাশে।
কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, সে রেকর্ড গড়াকালীন তাঁর বয়স ১৬ নয়, ছিল ১৯ বছর। এই তথ্য জানাজানি হওয়ার পরই আফ্রিদিকে রেকর্ড বই থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কিনা, সেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দেয় আইসিসি।
বয়সের পাশাপাশি আফ্রিদি তাঁর বইয়ে প্রাক্তন পাক তারকা জাভেদ মিঁয়াদাদকে ‘ছোট মানুষ’ বলে উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাটিং মিঁয়াদাদের পছন্দ ছিল না। এমনকী প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীরকে নিয়েও সমালোচনা করেন আফ্রিদি।
সবমিলিয়ে একগুচ্ছ বিতর্কে জড়িয়েছে তাঁর আত্মজীবনী। যদিও আফ্রিদির দাবি, এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি কাউকে অসম্মান করতে চাননি। তিনি শুধু তাঁর ক্যারিয়ারের সবদিকই তুলে ধরতে চেয়েছেন।