প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ঘরের মাঠে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল রোনালদোর জুভেন্টাস। কোয়ার্টারে জায়গা করে নিতে অন্তত ৩ গোলের জয় প্রয়োজন ছিল তাদের। এমন পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে পর্তুগিজ তারকা ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো নিজের শেষ্ঠত্ব আরো একবার প্রমাণ করলেন ফুটবল বিশ্বের কাছে। হ্যাটট্রিক গোল করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে উঠে গেল জুভেন্টাস। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জিতে পরের রাউন্ডে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
মঙ্গলবার রাতে তুরিনে ফিরতি লেগে আতিথেয়তা নিতে যায় স্পেনের ক্লাব অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচের প্রথম থেকেই অতিথিদের টুটি চেপে ধরে জুভেন্টাস। ফলে ২৭তম মিনিটেই গোলের দেখা পায় জুভিরা। বাঁ দিক থেকে ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির দূরের পোস্টে বাড়ানো ক্রসে লাফিয়ে নেওয়া হেডে জাল খুঁজে নেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রথম গোলের পর প্রথমার্ধে বেশ কটি ভালো সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি তুরিনের বুড়িরা। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তারা।
বিরতি থেকে ফিরে ৪৯ মিনিটে জোয়াও কানসেলোর ক্রস থেকে হেডে করেন লক্ষ্যভেদ। পর্তুগিজ উইঙ্গারের হেড অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ও’ব্লাক প্রতিহত করলেও বল পেরিয়ে গিয়েছিল দাগ। গোল লাইন প্রযুক্তিতে ব্যবধান ২-০ করে জুভেন্টাস।
ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি পার্থক্য গড়ে দেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা বের্নারদেস্কিকে পেছন থেকে কোররেয়া ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে পেনাল্টিটি পায় জুভেন্টাস।
চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে এই নিয়ে চার গোল করলেন রোনালদো। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে তার মোট গোল হলো ১২৪। আর অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে এই নিয়ে ৩২ ম্যাচে ২৫টি গোল করলেন রোনালদো। আগের ২২টি করেছিলেন সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে।
ম্যানসিটির গোল উৎসব
রাতের অন্য ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গোল উৎসব করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আক্ষরিক অর্থেই তারা উড়িয়ে দিয়েছে শালকে জিরো ফোরকে। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে জার্মান ক্লাবকে তারা হারিয়েছে ৭-০ গোলে। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-২ গোলে এগিয়ে শেষ আটে উঠেছে পেপ গার্দিওলার দল। শালকের মাঠের প্রথম লেগ ম্যানসিটি জিতে ফিরেছিল ৩-২ গোলে।
গোল উৎসবে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন ম্যানসিটির ছয় খেলোয়াড়। সার্জিও আগুয়েরো করেছেন জোড়া গোল, একটি করে গোল করেন লেরয় সানি, রাহিম স্টালিং, বেনার্দো সিলভা, ফিল ফোডেন ও গাব্রিয়েল জেসুস।