খুলনা টাইটান্স ও রাজশাহী কিংসের ম্যাচ দিয়ে বিপিএল ষষ্ঠ আসরে সিলেট পর্বের খেলা শুরু হলো। কিন্তু ভেন্যু পরিবর্তন হলেন ভাগ্য পরিবর্তন হলো না খুলনা টাইটান্সের। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তুলেছে তারা। রাজশাহীর জিততে প্রয়োজন ১২৯ রান।
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় খুলনা আজ একাদশে একটি পরিবর্তন নিয়ে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের হয়ে ওপেনিংয়ে আসে অভিজ্ঞ জুনায়েদ ও জহুরুল। জহুরুল মারমুখি ব্যাটিং দিয়ে খুলনার ইনিংসের সূচনা করেন। তবে দলীয ১৫ রানের মাথায় বেশি আক্রমনাত্বক ব্যাটিংয়ে নিজের উইকেট হারান। উদানার ওভারে একটি ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকানোর পর বড় শর্ট খেলে আরাফাত সানির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৬ বল থেকে ১৩ রান করেন তিনি।
দলীয় ৩৭ রানের মাথায় অন্য ওপেনার জুনায়েদ ১৪ বল থেকে ১৪ রান করে মিরাজের শিকার হন। দুই ওপেনারকে হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে খুলনা তোলে ৪৪ রান।
তবে পরের চার ওভারে আরো দুটি উইকেট হারায় খুলনা। এ সময় ২১ বল থেকে ১৫ রান করে মালান এবং ১৩ বল থেকে ৯ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ সময় ১০.১ ওভার থেকে খুলনার স্কোর ছিল ৬৫/৪।
টপ অর্ডারের মতো লোয়ার অর্ডারেও ছিল ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মিছিল। ইনিংসের ১৩তম ওভারের মধ্যেই এসে আবার ফিরে যান শান্ত ১১ ও ব্রাথওয়েট ৮ রানে।
৮২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা খুলনা এ সময় ডেভিড ওয়ােইস ও আরিফুলের ব্যাটে কিছুটা চাপ সামলায়। এই জুুটিতে আসে ৩৪ রান। দলীয় ১১৬ রানে ওয়াইস ফেরেন ১৩ রানে।
ইনিংসের শেষ ওভারে ২৭ বল থেকে ২৬ রান করে ফেরেন আরিফুল। তিনি খুলনার হয়ে আজ সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন। এতে নির্ধারীত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে খুলনার রান দাঁড়ায় ১২৮।
রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি, মিরাজ ও উদানা। একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজ।