বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে প্রথম জয় পেলো মাহমুদুল্লাহর খূলনা টাইটান্স। তাদের দেওয়া ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংয়ের ইনিংস শেষ হয়েছে ১৫১ রানে। পরবর্তীতে সুপার ওভারে ম্যাচের মিমাংশা হয়। সুপার ওভারে খুলনাকে ১ রানে হারিয়ে আসরের দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো চিটাগং। এদিকে চার ম্যাচ খেলে এখনো জয় ধরা দিলো খুলনার হাতে।
খুলনার দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানের মাথায় শেহেজাদের উইকেট চিটাগং। দ্বিতীয় উইকেটে ডেলপট ও ইয়াসির আলী প্রেথামিক ধাক্কা সামাল দেন। তবে দলীয় ৫১ রানের মাথায় ১৬ বল থেকে ১৭ রান করা ডেলপো্টকে ফিরিযে দেন তাইজুল
তৃতীয় উইকেট ইয়াসির ও মুশফিক টেনে তোলার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৮৭ রানে ইয়াসির ও ৮৭ রানে সিকান্দার রাজ ফিরে গেলে চাপে পড়ে চিটাগং। ৩৪ বল থেকে ৪১ রান করেন ইয়াসির।
পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেত ও মুশফিক দলের স্কোর তিন অংশ নিয়ে যান। এই জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল চিটাগং। তবে দলীয় ১১৯ রানে মুশফিকের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন ব্রাথওয়েট। ২৬ বল থেকে ৩৪ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।
মুশফিকের বিদায়ের পরের ওভারেই ১২ বল থেকে ১২ রান নিয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক। তাকে ফেরান শরিফুল। এর পর আর খেলায় ফেরার আশা ছেড়ে দিয়েচিল চিটাগং।
শেষ ওভারে চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ক্রিজে স্টাইকে থাকা নাইম প্রথম বল ডট দিলেট পরের বলে আরিফুলকে ছক্কা মেরে খেলা জমিয়ে তোলেন। তবে ওভারে তৃতীয় বলে আউট হয়ে প্যাভিলনে ফেরেন তিনি। তখন শেষ ৩ বলে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান।
স্টাইকে থাকা ফ্রাংক্লিন প্রথম দুই বলে পর পর ছক্কা মেরে স্কোর লেভেল করেন। শেষ বলে চিটাগংয়ের ম্যা্চ জিততে প্রয়োজন ছিল ১ রান। তবে ফ্রাংক্লিন বলে ব্যাট লাগাতে ব্যর্থ হয়ে বায় রান নেওয়ার চেষ্টা করলে রান আউট হন। ফলে ২০ ওভার শেষে চিটাগংয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৫১ রান।
খূলনার হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ও ব্রাথওয়েট। তাইজুল ও জুনায়েদ খান নেন ১টি করে উইকেট।
সুপার ওভার
খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। প্রথমে চিটাগংয়ের হয়ে ব্যাট করতে আসেন ফ্রাইলিংক ও ডেলপোট। পখূলনার হয়ে বোলিংয়ে আসেন জুনায়েদ খান । তার প্রথম বল থেকে চার ও পরের বলে সিঙ্গেন নেন ডেলপোর্ট। তৃতীয় বলে ফ্রাইলিংক জুনায়েদকে বাউন্ডারি মারলেও চতুর্থ বলেই বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান।
পঞ্চম বলে উইকেটে নামা মুশফিক ১ও শেষ বলে ডেলপোট ১ রান নিয়ে। সুপার ওভারে চিটাগং ১১ রান তুলতে পারেন। খুলনার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২ রান।
ম্যাচ জিততে খুলনার হয়ে ক্রিজে আসে ব্রাথওয়েট ও মালান। চিটাগংয়ের হয়ে বোলিং করতে আসেন ফ্রাইলিংক। প্রথম বল থেকে ব্রাথওয়েট সিঙ্গেল নিলেও দ্বিতয়ি বল থেকে মালান বাউন্ডারি মারের। তৃতীয় বল থেকে তিনি নেন ২ রান। শেষ ৩ বল খূলনার প্রয়োজন ছিল ৫ রান। চতুর্থ বলে মালান বাই রান নিতে গেলে শেহেজাদের থ্রোতে রান আউট হন ব্রাখওয়েট।
শেষ দুই বলের জন্য ক্রিজে নামা স্টাংলিং মাত্র ৩ রান তুলতে পারেন। ফলে সুপার ওভারে ১ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় চিটাগং