অ্যাশেজে এমন কিছুই করে দেখলেন স্মিথ যা ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া অ্যাশেজ সিরিজ ২-২ ড্র হলেও শিরোপা থাকছে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই। স্টিভ স্মিথ এবারের অ্যাশেজ সিরিজে খেলতে পেরেছেন চারটি ম্যাচ।
চোটের জন্য লিডসে তৃতীয় টেস্টে খেলা হয়নি তার। চার টেস্টে ৭ ইনিংস ব্যাটিং করে ৫০এর নিচে রান করেছেন মাত্র একটি ম্যাচে। একটি ডাবল সেঞ্চুরি সহ মোট তিন সেঞ্চুরি আর সঙ্গে আছে তিনটি পঞ্চাশ আর তাতেই মোট রান ৭৭৪। গড় চোখ-ধাঁধানো ১১০.৫৭।
সদ্যসমাপ্ত অ্যাশেজে দারুন ফর্মে ছিলেন স্টিভ স্মিথ। এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৬৮ টেস্ট ম্যাচ আর ব্যাটিং করেছেন ১২৪ ইনিংসে। ৬৮টি টেস্টের ক্যারিয়ারে ব্যাটিং গড়ের নিরিখে তিনিই শীর্ষে। ৬৮ টেস্টে বিশ্ব সেরা গ্যারি সোবার্স, লিওনার্ড হাটন, ওয়ালি হ্যামন্ড, কুমার সঙ্গকারা, জাভেদ মিয়াঁদাদ সহ সব কিংবদন্তিকেই পেছনে ফেলেছেন স্মিথ।
স্বদেশী ডন ব্র্যাডম্যানের কথা এখানে আসেনা; কারণ তাঁর খেলা টেস্ট সংখ্যা ৫২টি। আর মাত্র ৫২ টেস্টে তাঁর সংগ্রহ ৬৯৯৬ রান এবং গড় ৯৯.৯৪। কোনো ক্রিকেটারের জন্য ব্র্যাডম্যানকে ছুঁতে পারা মনে হয় সম্ভব নয়। অন্যদিকে ৬৮ টেস্ট খেলা স্মিথ ২৬ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৬৯৭৩।
অ্যাশেজে ৪ টেস্টে ৭৭৪ রান করে স্মিথ স্পর্শ করে ফেলেছেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারকে। ১৯৭১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অভিষেক সিরিজে ৭৭৪ রান করেছিলেন লিটল মাস্টার খ্যাত সুনীল। তিনিও পাঁচ টেস্টের সেই সিরিজের প্রথমটিতে ছিলেন দলের বাইরে। তাই চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন সেই সিরিজে।
১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি টেস্ট খেলে ৮২৯ রান করেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস। চার টেস্টে কোনও ব্যাটসম্যানের ব্যাক্তিগত সর্বাধিক রানের রেকর্ড এটিই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই সিরিজটিও ছিল পাঁচ টেস্টের। এবং অসুস্থতার জন্য একটি টেস্টে খেলেননি ভিভ।
২০১৯ অ্যাশেজে স্বপ্নের পারফর্ম করে এক সিরিজে চার টেস্টে সর্বাধিক রানের তালিকায় গাভাস্কারের সঙ্গে স্মিথও এখন তাই যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে। ২০১৪-১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজেও অসাধারণ খেলেছিলেন স্মিথ। চার টেস্টে ৭৬৯ রান করেছিলেন সেবার। এবারের অ্যাশেজে সেই রানকেও টপকে গেলেন ৩০ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি।