খুব বেশি মাথা খাটিয়ে নয় বরং হুট করেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু তখনি শেষ বলবেন যখন বুঝবেন আন্তজার্তিক ক্রিকেটে আর কিছুই তার দেওয়ার নাই। এসব কথা দেব চৌধুরির একান্ত সাক্ষাৎকারে খেলাযোগকে জানিয়েছেন মাশরাফি।
দেব: আপনার নিজের ফর্ম নিয়ে বা নিজের এ্যাবিলিটি নিয়ে আপনার মধ্যে কি কোনো ডাউট তৈরি হয়েছে সো ফার?
মাশরাফি : না ডাউট না, আল্টেমেটলি প্লেয়ার হিসেবে সব প্লেয়ারই চায় তার কন্ট্রিবিউশন থাকুক। আমি নিজেও পার্সোনালি ইন্ড অফ দ্যা ম্যাচ চিন্তা করি যে আমি উইকেট ১ টা পাইলে ভালো লাগতো,২টা পাইলে ভালো লাগতো বা ৩ টা পাইলে ভালো লাগতো। আল্টিমেটলি উইকেট কিন্তু লাকেরই ব্যাপার। আর উইকেট না পাওয়াটাও কাউন্ট হবে এটাই স্বাভাবিক।
দেব: আপনি কি কখনো আপসেট ফিল করেছেন?
মাশরাফি : না আমি আপসেট ফিল করিনি। আবার যদি বলেন যে হ্যাঁ একজন বোলার সাধারণত রিকোগনাইজ হয় উইকেট দিয়ে। খুব স্বাভাবিক একজন ভালো ব্যাটসম্যানও রিকোগনাইজ হয় রান দিয়ে। আল্টিমেটলি ওই জায়গাটা তো খারাপ না লাগাটাও খারাপ। যদি আপনার খারাপ না লাগে পার্সোনালি,তো ওটা লাগছে। তো আমি যখন খেলছি আসলে ওই সেম ফিলিংস নিয়ে মাঠে যাওয়া আবার খেলা এটাও কঠিন। বাট, আমিও মানুষ, আমারো যে মাঠে গিয়ে নেগেটিভ চিন্তাগুলো মাথায় আসেনা তা কিন্তু নয়। সমবসময় দূরে রাখাও কখনো হয়, কখনো পারিনা। এর বিষয় দিয়েও যাইতে হয় আরকি।
দেব: এই সিচুয়েশনে আপনার অবসর নিয়ে কথা হচ্ছে। আপনি পার্সোনালি কি ফিল করেন যে কত বছরের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট মাশরাফি বিন মর্তুজার ভিতরে বাকি আছে? একদম আপনার পার্সোনাল এ্যাসেসম্যান্ট।
মাশরাফি : দেখেন ক্রিকেট আমি খেলবো। যখন আমি ক্রিকেট শুরু করেছি তখনো আমি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট চিন্তা করে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করিনাই। যখন আমি টি-টোয়েন্টি ছেড়েছি হুট করে ছেড়েছি এটাও আমি হুট করে ছাড়বো এটা ফর সিউর। কারন আমার সিদ্ধান্তগুলো এরকমই হয়।
যতই আমি আপনাকে বলিনা কেন ভেবে চিন্তে হবেনা। বাট, আমার কাছে মনে হয় আমার ফ্যামিলিকে আমার এইটুকু প্রাওরিটি দেওয়া উচিত যেহেতু, ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে ক্রিকেট ছাড়ার প্রশ্ন আসবে সেহেতু তাদের সাথে আলোচনারও একটা ব্যাপার আছে। ক্রিকেট বোর্ড আছে, বোর্ড কীভাবে চিন্তা করে। ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আলোচনার ব্যাপার আছে। ক্রিকেট বোর্ড যদি আমাকে সরাসরি বলে তাহলে অবশ্যই সেটাও আমাকে চিন্তায় আনতে হবে। কিন্তু একবারে লাস্ট জাজমেন্ট যেটা আপনি বলছেন যে আপনি ডিসাইডেড সেই জাজমেন্টে আসলে কে কীভাবে যাবে আমি জানিনা তবে আমি অবশ্যই আমি আমার নিজেকে অনেকভাবে কনসিডার করবো।
শুক্রবার চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শেষ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ। তবে বিদায়ী বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে আগে অনুশীলন ও সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি আসেননি। তার এই আচারণকে সন্দেহের চোখে দেখছেন অনেকে। মিডিয়া পাড়ায় কানাঘুসা চলছে তাহলে কি পাকিস্তানের বিপক্ষেই সবাইকে আরেকবার অবাক করে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন মাশরাফি। যদিও সতীর্থরাসহ বোর্ড কর্তারা খুব করে চাইছেই মাশরাফি দেশের মাটিতেই নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানুক।