ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর, আইপিএলের কারনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন সৌরভ। এই সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। আর তাতেই বেঁধেছে গন্ডগোল। বেঙ্গলের প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শকের ভূমিকা পালন করতে গিয়েই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।
আর নিয়ম বহির্ভুত দুটি সাংঘর্ষিক পদে দায়িত্ব পালন করায় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) ৭ এপ্রিলেরে মধ্যে গাঙ্গুলিকে সুনির্দিষ্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলো।
পরবর্তীতে বিসিসিআইয়ের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে সৌরভ বলেন, ‘আমি আগে বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটি, আইপিএল টেকনিক্যাল কমিটি এবং আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ছিলাম। এসব পদ থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। বর্তমানে আমি বোর্ডের কোনও পদে নেই। এমনকী বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিল কিংবা বোর্ডের অফিস বেয়ারার পদেও আমি নেই। এমনকি বোর্ডের ক্রিকেট কমিটিরও সদস্য নই।’
বিচারপতি জেকে জাইন জানান, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের আইনের ৩৮ (৪) ধারা অনুসারে একজন ব্যক্তি একই সময়ে ভিন্ন দুইটি পদের দায়িত্ব নিতে পারবেন না। কিন্তু গাঙ্গুলি সেটাই করছিলেন। সেক্ষেত্রে গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগটি যুক্তিযুক্ত।
সম্প্রতি ভারতের সাবেক এই বাঁহাতি অধিনায়কের বিরুদ্ধে কলকাতার তিনজন সমর্থক রঞ্জিত শীল, অভিজিৎ মুখার্জী ও ভাস্বতী সান্টুয়া বিচারপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন যে, সৌরভের সাংঘর্ষিক পদের কারণে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচের আগে স্থানীয় পিচ প্রস্তুতকারককে তার দলের সুবিধা মতো পিচ বানানোর নির্দেশ দিতেই পারেন।
তবে অভিযোগের জবাবে গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি এমন কোনও জায়গায় নেই, যেখান থেকে কোনও কিছুর ওপর প্রভাব খাটাতে পারব। আমি এমন কিছু করছি না, যে কারণে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া বোর্ডের কিউরেটররা এখন আইপিএল ম্যাচের পিচ তৈরি করেন। কাজেই আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন৷’