শুরুতে উদ্ধোধনী জুটিতে ভালো সূচনা পেয়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু, পরবর্তীতে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রানে আটকে যায় আফগানিস্তান। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৩৯ রান।
টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলে আফগানিস্তান। আফগান দুই উদ্ধোধনী ব্যাটসম্যান জাজাই ও রহমতউল্লা ৯ ওভারে ৭৫ রান তোলেন। একাধিক বোলার ব্যাবহারের পরও আফগানিস্তানের উদ্ধোধনী জুটি যখন ভাঙা যাচ্ছিল না তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অভিষেক বোলিংয়ের ওভারেই জোড়া উইকেট মেডেন নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন আফিফ।
আফিফ প্রথমে জাজাইকে প্যাভিলনে ফেরত পাঠিয়ে তাদের ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন। জাজাই ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি আফিফের প্রথম উইকেট। একই ওভারে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা আসগার আফগানকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন তিনি।
পরের ওভারেই আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। অন্য ওপেনার রহমতউল্লা গুলবাজকে কট এন্ড বোল্ড আউট করেন তিনি। গুলবাজ ২৭ বল থেকে ২৯ রান করেন।
এরপর আফগান ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। দলীয় শতক পেরুনোর আগেই প্যাভিলনে ফেরেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। নবী (৪), নায়েব (১) ও করিম জান্নাত (৩) কেউই ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি।
এ সময় তাদের হয়ে ১৭ বল থেতে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে লড়াই করার শক্তি এনে দেন শফিকুল্লা। এছাড়া রশিদ খান ১৩ বল থেকে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আফিফ ৩ ওভারে ৯ রান দিনে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া সাইফ ২৩, সাকিব ও শফিউল ২৪ করে রান দিয়ে প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নেন। মুস্তাফিজ ৩ ওভারে ৩১ রানে নেন ১টি উইকেট।