দ্বাদশ আইপিএল আসরের দ্বিতীয় দিনে মানকাডিং আউট নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক রবিচন্দন অশ্বিন। এরপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। তবে এখনো নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন অশ্বিন। একটি সাক্ষাৎকারে মানকাডিং আউটের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, আর অশ্বিন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আদৌ অনুতপ্ত নন।
চলতি আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তাঁকে মানকাডিং আউটের শিকার হয়েছিলে ইংলিশ ব্যাটসম্যাস জস বাটলার। এই ঘটনায় নিয়ে অশ্বিন সংবাদ মাধ্যেমের সঙ্গে মুখ খুললেও নিশ্চুশ ছিলেন বাটলার। গেল বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমে নীরবতা ভাঙলেন বাটলার।
মানকাডিং আউট প্রসঙ্গে বাটলার বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে, ওই আউটটা মন থেকে এখনও মানতে পারিনি। এ ভাবে আউট হওয়াটা স্বাস্থ্যকর নয়।’’ সেখানেই না থেমে বাটলার আরও বলেছেন, ‘‘ওই ঘটনার পরের দু’টি ম্যাচে আমাকে পপিং ক্রিজের মধ্যে থাকা নিয়ে এতটাই সতর্ক থাকতে হয়েছিল যে, ভাল ভাবে খেলতেই পারিনি। মনঃসংযোগ ব্যাহত হয়েছে প্রতি মুহূর্তে।’’ বাটলারের দাবি, ‘‘হতে পারে ক্রিকেটীয় আইনের মধ্যেই মানকাডিং আউট পড়ে, কিন্তু যদি ওই ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ লক্ষ্য করা যায় তা হলে দেখা যাবে, আমি ভুল সিদ্ধান্তে আউট হয়েছি। কারণ যে সময়ে অশ্বিন বলটা ছাড়ছিল, তখন কিন্তু আমি উইকেটের মধ্যে ছিলাম।’’ ইংল্যান্ড ক্রিকেটারের অভিমত, মানকাডিং আউট প্রয়োগ নিয়ে আরও বেশি মাত্রায় পর্যালোচনার দরকার, কারণ এ ধরনের আউট ক্রিকেটীয় স্পিরিটের সঙ্গে খাপ খায় না।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের জোরে বোলার জেমস অ্যান্ডারসনও আপত্তি জানিয়েছেন অশ্বিনের মানকাডিং আউটকে। তাঁর বক্তব্য, এ ধরনের আউট ক্রিকেটীয় আদর্শের পরিপন্থী। যদিও সেই বক্তব্যকে খারিজ করে দিয়েছেন অশ্বিন। তিনি বলেছেন, ‘‘আজ যে কারণে অ্যান্ডারসন আমার সমালোচনা করছে, হয়তো আগামীকাল সেও একইভাবেই কোনও ব্যাটসম্যানকে আউট করবে। ফলে প্রশ্নটা ক্রিকেটীয় আদর্শের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা অপ্রয়োজনীয়। আমি আবারও বলছি, ক্রিকেটীয় আইনের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমি বাটলারকে আউট করেছিলাম। তা নিয়ে আমার মধ্যে কোনও অনুশোচনা নেই।’’
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘‘সকলেই আমাকে জানেন। সকলেই জানেন, আমি অবৈধ কোনও কাজকে প্রশ্রয় দিই না। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার কিন্তু আমার পাশেও দাঁড়িয়েছেন। ফলে কী করে বলতে পারি ভুল করেছি।’’