মিরপুর শের-ই-বাংলা ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ প্রথম ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম দল হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লীগের সেমিফাইনালে নাম লেখালো শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২২ রানে হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে উঠেছে তারা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে তৌহিদ হৃদয় ও শুভাগত হোমের ঝড়ে ১৯২ রান সংগ্রহ করে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। শাইনপুকুরের এমন সহজ জয়ের নায়ক শুভাগত হোম। শাইনপুকুরের আগের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ১০ বলে ৩০ রান করা শুভাগত প্রিমিয়ার লীগ টি-টোয়েন্টিতে আন্দ্রে রাসেল, ক্রিস গেইলদের মতো দানবে পরিণত হচ্ছেন দিন দিন।
অলরাউন্ডার শুভাগত এবার খেললেন ২২ বলে ৫৮ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। ৬ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারির এই ইনিংসে ১৬ বলে ফিফটি পূরণ করেছেন তিনি। ১৮ বলে ৫৮ রান করা শুভাগত বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও করেন এই ইনিংসটি খেলে। শুভাগতর সাথে ঝড়ে শামিল হন তৌহিদ হৃদয়। ৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৪১ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তৌহিদ।
মোহামেডানের হয়ে আলাউদ্দিন বাবু, কাজী অনিক, নিহাদুজ্জামান ও সাকলাইন সজীব ১ টি করে উইকেট লাভ করেন। কাজী অনিক ছিলেন অনেক খরুচে। তিনি ৪ ওভারে ১ উইকেট পেলেও ৬২ রান দিয়েছেন।
বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানের শুরুটা ভালোই ছিল। তাদের দুই ওপেনার অভিষেক মিত্র এবং আব্দুল মজিদ ইনিংসের প্রথম ৪ ওভারে ভালোই খেলেছেন। কিন্তু ৪.২ তম দলের ৪২ রানে সোহরাওয়ার্দী শুভর বলে ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান অভিষেক মিত্র। অভিষেক আউট হলে ছন্দপতন ঘটে মোহামেডানের।
অভিষেক বিদায় নিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেও মজিদের সঙ্গে ওয়ান ডাউনে ক্রিজে নেমে ভালোই জুটি বেঁধেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু, দলীয় ৭৪ রানে দেলোয়ার হোসেনের বলে হামিদুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে ২০ বলে ২১ রান করেন আশরাফুল। আশরাফুলের ২১ রানের ইনিংসটিতে ২ টি বাউন্ডারির মার্ ছিল। দলীয় ৭৪ রানেই আউট হন আব্দুল মজিদ।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা মোহামেডান। যদিও ইরফান শুক্কুর শেষ দিকে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ১ ছয় ও ৪ চারে সাজানো তার ২৯ বলে ৫২ রানের ইনিংসটি কেবল মোহামেডানের হারের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করে।
শাইনপুকুরের সোহরাওয়ার্দি শুভ, সুজন হাওলাদার ও হামিদুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। দেলোয়ার ও আফিফ নিয়েছেন ১ টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শাইনপুকুর: ১৯২/৪ (সাব্বির ১০, সোহরাওয়ার্দী ২, আফিফ ২৫, হৃদয় ৬৬, রাকিব ২২, শুভাগত ৫৮; সাকলাইন ১/২৩)
মোহামেডান: ১৭০/৯ (অভিষেক ১৯, মজিদ ৩৩, আশরাফুল ২১, নাদিফ ১, রকিবুল ১৬, সোহাগ গাজী ১, ইরফান ৫২*, বাবু ১৩ ; সোহরাওয়ার্দী ২/১৭, সুজন ২/৪০, হামিদুল ২/৩৪)