পাকিস্তান বিশ্বকাপ নিয়েছিল ১৯৯২ সালে। তও আবার ইমরান খানের নেতৃত্বে। এরপর ১৯৯৯ সালের দিকে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছিল আবারো পাকিস্তান। কিন্তু তার পরের আসরগুলোতে আর একবারও ফাইনালে উঠতে পারেনি। কিন্তু ২০১৭ সালে ইংলিশদের মাটিতে সবাইকে অবাক করে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান। তবে সরফরাজ আহাম্মেদের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক ওয়ানডে খেলাগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় বর্তমান পাকিস্তান দলের ফর্ম একেবারেই শোচনীয়।তথাপি এবারের বিশ্বকাপে শিরোপার দ্বিতীয় বা তৃতীয় দাবিদার পাকিস্তান, এমন মন্তব্য করে চমকে দিয়েছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এউইন মরগ্যান।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পর্যুদস্ত হয়ে সরফরাজের দল। তাদের এমন পারফরম্যান্স সত্ত্বেও আইসিসি ক্রিকেট ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইংলিশ অধিনায়ক মরগ্যান বলেন, ‘গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তারা ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। এবার বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে ওরা। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ হওয়ায় আমাদের জন্যও ভালো হয়েছে। এই সিরিজের মাধ্যমে প্রস্তুতি জোরদার করা যাবে।’
অননুমেয় দলটিকে নিয়ে এউইন মরগ্যান আরো বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ফেভারিট দল হলো পাকিস্তান। তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তেমন ভালো নয়। তবে আমার মনে হয়, বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়িয়ে ট্রফির জন্যই লড়াই করবে ওরা।’
নিজের দেশ ইংল্যান্ডকে এবারের বিশ্বকাপের ফেভারিট দল আখ্যা দেন মরগ্যান। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের অবিস্মরণীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। তবে এবারের আসরে স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা নিয়ে মাঠে নামবে ইংলিশরা। বাড়তি সুবিধা পাওয়ায় অধিনায়ক মরগ্যান বলেন, ‘বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে আমরা ফেভারিট দল। আমার বিশ্বাস, ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এবারের আসরে প্রত্যাশিত ফল নিয়ে আসতে পারব আমরা।’
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের গত ১১টি আসরে এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। তবে একবারের জন্যও ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি ‘ক্রিকেটের জনক’ খ্যাত দেশটির। তিনবারের ফাইনালে ১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইংলিশদের।