যথেষ্ট গতি ও সুইং না থাকলেও বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করার সক্ষমতা রয়েছে সাইফউদ্দিনের।আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং এই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং স্বর্গে দলের হয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছেন এই পেসার। নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর দিক থেকে এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পেসার ও তিনি।
চলতি বিশ্বকাপে সাইফউদ্দিন ৫ ম্যাচে ২৮.১০ এভারেজে ১০ উইকেট শিকার করেছেন। ১০ টি করে উইকেট সাকিব মুস্তাফিজ নিলেও তারা খেলেছে ৬ ম্যাচ। অন্য পেসাররা খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে না পারলেও ব্যতিক্রম সাইফউদ্দিন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের দিক থেকেও দ্বাদশ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পেসার সাইফ।
সাইফউদ্দিন এগিয়ে আছেন ইয়র্কার ডেলিভারির দিক থেকেও। সবচেয়ে বেশি ইয়র্কার করার দিক থেকে তার অবস্থান দ্বিতীয়। তালিকায় বাকি সব বোলারই ব্যাটসম্যানদের ভীতি ছড়ানো পেসার। সাউথ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার ইনিংসের ১৫ ওভার পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৩৬টি ইয়র্কার ডেলিভারি করেছেন শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা।
২৫টি ইয়র্কার ডেলিভারির মাধ্যমে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করা সাইফউদ্দিন আছেন মালিঙ্গার পরই। মালিঙ্গার কাছাকাছি যেতে না পারলেও সাইফউদ্দিন এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক ও মারকুয়াস স্টোয়িনিস,ইন্ডিয়ার বুমরাহ ও নিউজিল্যান্ডের লুকি ফার্গুসনের চেয়ে।সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি স্টার্ক ইয়র্কার ডেলিভারি করেছেন ২৪টি, অর্থাৎ সাইফউদ্দিনের চেয়ে একটি কম। চতুর্থ স্থানে থাকা স্টয়নিসের ইয়র্কার ডেলিভারির সংখ্যা ১৯টি। আর ফার্গুসন ও বুমরাহ দুজনই ইয়র্কার করেছেন ১৮টি করে।