যে সাব্বিরকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনা সমালোচনা ছিল সেই সাব্বিরই এখন বাংলাদেশ দলের প্রাণ। সাব্বির রহমান ছয় মাসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠার আগেই জাতীয় দলে চান্স পেয়ে গেলেন আর তাতে কম হৈচৈ কম হয়নি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে। তা তো হবার কথাই, কারণ সাব্বিরের সঠিক শাস্তি হওয়ার পরই সে দলে ফিরুক এটাই চেয়েছিলো সবাই। যাতে ভবিষ্যতে আর এমন ভুল দ্বিতীয়বার না করে।
তবে দলে চান্স পাওয়ার পর প্রথম দুটি ম্যাচই খেলে ফেললেন এবং দলের টপ অর্ডাররা যখন ব্যর্থ তখন নিজেকে চেনালেন নতুন করে। আজ ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দল যখন বিপর্যয়ের মুখে ঠিক তখনই মোহাম্মদ মিঠুনের সাথে করেছেন ৭৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এরপর মিরাজের সাথে ২২ আর সাইফউদ্দিনের সঙ্গে ১৬ রানের জুটি। সাতটি বাউন্ডারিতে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের ঠিকমতোই প্রতিরোধ করে ৬৫ বল খেলে করেছেন ৪৩ রান। যা টাইগারদের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ একক স্কোর।
তবে সাব্বিরের ইনিংস নিয়ে তেমন কোনো অসন্তোষ না থাকলেও বাংলাদেশের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ এখন খুব বেশি করেই ক্রিকেট প্রেমীদের মনে কষ্ট দিচ্ছে।
সাব্বিরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এমন দুর্দশার কারণ কি? সাব্বিরের মতে ব্যাট করতে তেমন কোনও অসুবিধা হয়নি। তবে প্রধান সমস্যা হলো ভুল শট খেলা। সাব্বির বলেন, ‘আমি তো কোনও সমস্যা দেখছি না। ওরা ভালো বোলিং করেছে আর আমরা কিছু শট ভুল খেলেছি। যার কারণে উইকেট দিয়ে এসেছি তাড়াতাড়ি। আশা করছি শেষ ম্যাচে এমনটা হবে না। ভুল শুধরে পরের ম্যাচে ভালো করব।’
পরের ম্যাচটা হারলেই হোয়াইটওয়াশ। অথচ এই নিউজিল্যান্ডকেই কিনা বাংলাদেশে একসময় ডেকে এনে বাংলাওয়াশ করেছে টাইগাররা। অথচ এই সময়ে বাংলাদেশ দল যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী কিন্তু প্রতি ম্যাচেই নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ যেন একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। এই নিউজিল্যান্ডেই ২০১৬ সালেও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল টাইগারদের। তাহলে কি সমস্যা এখানকার কন্ডিশনে?
সাব্বিরের কথায়, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে যে একদমই মানিয়ে নিতে পারছি না, তা না। সবই ঠিক আছে শুধু পরিকল্পনাটা কাজে লাগছে না ঠিকঠাক। পরের ম্যাচে যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারে সবাই তাহলে অন্তত হোয়াইটওয়াশ ঠেকিয়ে ব্যবধানটা ২-১ করতে পারব। এ নিয়ে আমাদের বসতে হবে। বের করতে হবে ভুলটা আসলে কোথায় হচ্ছে। প্ল্যান যেটাই হোক আমরা চেষ্টা করব অনুশীলনে ঠিক করে ফেলতে।’