দেশের হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট খেলা বাদ দিয়ে ভারতের আইপিএলকে বেছে নেয়ার পর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য এই সময়টাতে আইপিএল খেলতে চাই। অংশগ্রহণ করেছিলেন আইপিএলের ভারত পর্বে। তবে আহামরি কোন পারফরম্যান্স ছিল না তার।
বিশ্বকাপের ঠিক আগেও লাল সবুজের ক্যাম্প ও প্রস্তুতি ম্যাচেও ছিল না সাকিব। খেললেন আইপিএলের ইউএই পর্বে। এবারও সেই একই পারফরম্যান্স- ৯ রান ও ২ উইকেট।
তাহলে সাকিব কি সেরা ফর্ম, দৃঢ় মনোবল ও বুক ভরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে যোগ দিতে পারছেন? সব মিলিয়ে কেমন হলো তার বিশ্বকাপ প্রস্তুতি?
পরিসংখ্যান বলছে, সাকিব আল হাসানের প্রস্তুতি একদমই বাজে হয়েছে। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বিবেচনায় সাকিবের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয় মোটেও। দুই পর্ব মিলিয়ে মোট ৮ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। রান করেছেন ৪৭, উইকেট ৪টি।
তবে পরিসংখ্যানের বাইরেও অনেক আলোচনা থাকে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগের ঘটনাও এখানে প্রাসঙ্গিক। সেবার বিশ্বকাপের আগে আইপিএলে খেলেছিলেন মাত্র ৩ ম্যাচ। ৯ রানের সঙ্গে উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ২টি।
আইপিএলের এ পরিসংখ্যান নিশ্চয়ই সে বিশ্বকাপে সাকিবের প্রস্তুতির পক্ষে কথা বলে না। ৬০৬ রান ও ১১ উইকেটের যুগলবন্দীতে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারের অন্যতম দাবিদারও হয়ে উঠেছিলেন এই অলরাউন্ডার।
এমন ঈর্ষণীয় পারফরম্যান্সের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল সেই আইপিএল। সেখানকার প্রস্তুতি, দলীয় বৈঠক এবং আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা সাকিবকে করে তুলেছিল অনন্য, অসাধারণ। এবারও তেমন কিছুই হবে এমনটাই প্রত্যাশা করা যায়।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে, ‘২০১৯ বিশ্বকাপের চেয়েও ভালো করবে সাকিব।’ এমন বিশ্বাসেই তো মেলে বড় সাফল্য।