বিশ্বকাপে ব্যর্থতায় মেয়াদ বাড়ানো হয়নি ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ। তাই নতুন করে কোচ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে নতুন কোচ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনে রকমের হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না অধিনায়ক তথা বিরাট কোহলি।
২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ভারতের হেড কোচ পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় কুম্বলেকে। এরপর নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় রবি শাস্ত্রীর। তবে তার নিয়োগ পাওয়ার পেছনেও কোহলির হাত ছিল। পরে রাহুল দ্রাবিড় ও জহির খানকে সাপোর্ট স্টাফ হিসাবে বোর্ড নিয়োগ দিতে চাইলেও তাদের সঙ্গে কাজ অস্বীকার করেন শাস্ত্রী৷
তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতীয় বোর্ড এবার কোচ বাছাই ঘিরে বেশ কয়েকটা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ যার মধ্যে অন্যতম কোচ নিয়োগে অধিনায়কের মতামতকে প্রধান্য না দেওয়া। এছাড়া কোচের সাপোর্টিং স্টাফও চূড়ান্ত করে দেবে বোর্ড। বিসিসিআইয়ের এক অফিশিয়াল এমনটাই জানিয়েছেন।
ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি থেকে শচীন, সৌরভ ও লক্ষ্মণের সরে যাওয়ার পর ভারতের মহিলা দলের কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব পড়ে কপিল দেবের অ্যাড হক কমিটির কাঁধে। তার নেৃতৃত্বেই এবার কোহলির দলের হেড কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক অফিশিয়াল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘এর আগে সাবেক কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে নিজের সমস্যা কিংবা দলের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু নতুন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কে কোচ হবে না হবে তা নিয়ে কিছুই বলতে পারবে না। এবার কোচ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কপিল দেব আছেন, তিনি কোহলির কথা শুনবেন না।’
কোচ নির্বাচনের পর সাপোর্ট স্টাফও (কোচের সহকারীরা) বেছে নেবে বিসিসিআইয়ের এই সিনিয়র কমিটি। এ নিয়ে সেই অফিশিয়ালের উক্তি, ‘সাপোর্ট স্টাফও বেছে নেবেন নির্বাচক কমিটি। সাধারণত দলীয় ঐক্য বাড়াতে হেড কোচকে সাপোর্ট স্টাফ নির্বাচনের স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এবার হেড কোচ আগেই (সাপোর্ট স্টাফের আগে) বেছে নেওয়া হলে তিনি এ প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন।’