টসে হেরে নিয়ন্ত্রীত বোলিংয়ে ভারতকে ২২৪ আটকে ফেলেও ২১৩ রানে থেমে গেলো আফগানিস্তানের তরী ডুবল। শেষ ওভারে মোহাম্মদ শামির হ্যাটট্রিকে ১১ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়ে গেলো ভারত।
ভারতের দেওয়ার চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে আফগানদের উদ্ধোধনী জুটিতে ব্যাট করেত আসেন জাজাই ও নায়েব। এই জুটির ২০ রানের মাথায় জাজাইকে(১০) সাজঘরে ফেরত পাঠান শামি।
দ্বিতীয উইকেটে নায়েব ও রহমত শাহ ৪৪ রানের জুটি গড়েন। এই জুটির নায়েবকে ব্যক্তিগত ২৭ রানে পান্ডে ক্যাচ আউটে পরিণত করেন। এরপর রহমত ও ও শাহিদ জুটিতে দলীয় সংগ্রহ শতক পেরোয় আফগানিস্তান। এ সময় ম্যাচে বেশ ভালো ভা্বেই দখল ছিল আফগানদের ।
তবে ২৯তম ওভারে বুমড়া আফগান শিবিরে এই দুই সেট ব্যাটসম্যানকেই ফিরিয়ে দেন তিনি। রহমত ৩৭ এবং শাহিদ ২১ রান করেন।
দুই সেট ব্যাটসম্যান হারিয়ে আবার নতুন জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন আজগার ও নবী। তবে এই ম্যাচে আজগর ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর নবীকে কিছুটা সঙ্গ দেন নজিবুল্লাহ(২১) ও রশিদ (১৪)। যা আফগানিস্তান খেলার বেঁধে রাখে।
দলীয় ১৯০ রানে যখন রশিদ খান ফিরলেন তখন আফগানিস্তানের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নবী। তিনি অষ্টম উইকেট জুটিতে ইকরাম আলীকে নিয়ে লড়াইটা ৫০তম ওভারে নিয়ে যান। এ সময় তাদের প্রয়োজন ১৬ রান ।
বোলিংয়ে শামির করা প্রথম বল থেকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নবী। তবে এরপরের চারটি বলে শেষ তিনটি বলে নবী, আফতাব আলম ও মুজিবুরের উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করে শামি। বিশ্বকাপে ভারতের হয় দ্বিতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান তিনি।
২১৩ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। আর ১১ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়ে যায় ভারত। চলতি আসরে এটি পাঁচ ম্যাচে ভারতের চতুর্থ জয়।