জাত লেগ স্পিনার হিসেবে ক্রিকেট মঞ্চে তার উত্থান হলেও সাম্প্রতিক সময় ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে চেনাচ্ছেন আফগানিস্তান ক্রিকেটার রশিদ খান। ওয়ানডেতে একশর ওপরে স্ট্রাইকরেট ও ২২ ব্যাটিং গড়ের রশিদ এ সংস্করণে দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডারও। যা তার ব্যাটিং নৈপুণ্যতা ভালো ভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে। আর নিজের ব্যাটিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই তিনি গড়ে তুলেছেন এক সংগ্রহশালা।
এদিকে রশিদের সংগ্রহশালায় ছিল ১০টি ব্যাটে। যেগুলো তিনি বিশ্বের স্বানমধণ্য ক্রিকেটারদের নিকট থেকে সংগ্রহ করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে রশিদ বলেন, ‘ব্যাটিং শিখতে গেলে ভালো ব্যাটের দরকার হয়। অন্য ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কয়েকটি ব্যাট সংগ্রহ করেছি। বিরাটের কাছ থেকে পেয়েছি, ডেভি (ওয়ার্নার) ও লোকেশ রাহুলও দিয়েছে। এগুলো বিশেষ ব্যাট। বিশ্বকাপে বেশি রান করতে এগুলো সাহায্য করবে আমাকে।’
তবে নিজেদের সংগ্রহশালা থাকা ব্যাট গুলোর মধ্যে কোহলির দেওয়া ব্যাটটি তার কাছে আর নেই। যেটি কোহলি তাকে গেলো আইপিএলে উপহার দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথমটিতে কোহলির ব্যাটটি নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন। আফগানিস্তান সেই ম্যাচে হারলেও রশিদের দুটি ছক্কা নজর কেড়ে নেয় তার সতীর্থ আসগর আফগানের। তার কারণও ছিল। শুনুন রশিদের মুখেই, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করছিলাম। একটি চার মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ছক্কা হয়ে যায়। ভাবলাম কী হলো? ওটা ছক্কা হয়ে গেল! মিড অফের ওপর দিয়ে আরেকটি চার মারার চেষ্টা করলাম, সেটাও ছক্কা হয়ে গেল। বুঝলাম, এটা সাধারণ ব্যাট না। মনে হচ্ছিল, মারলেই ছক্কা হবে। ব্যাটটাতে বিশেষ কিছু ছিল।’
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। আউট হয়ে রশিদ ড্রেসিংরুমে ফিরলেই সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান রশিদের কাছে ব্যাটটি চেয়ে বসেন। বুকে পাথর চাপা দিয়ে রশিদ খান ব্যাটটি দিতে রাজি হয় আফগানকে। আর সে এর মধ্যেই আমার ব্যাগ থেকে ব্যাটটা নিয়ে তার ব্যাগে তুলে রাখল। ওটা ছিল একজন বিশেষ ক্রিকেটারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া বিশেষ ব্যাট।’
সতীর্থ ব্যাটটি নিয়ে নিলেও রশিদ কিন্তু ব্যাটের আশা ছাড়েননি। আফগান ব্যাটিং অর্ডারে শেষ দিকে তাকে বেশ দায়িত্ব নিয়েই খেলতে হয়। এ কারণে ব্যাটটি ফিরে পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন রশিদ। ব্যাটটা তাঁর এতই প্রিয় যে ওটা দিয়ে সতীর্থ যেন ভালো করতে না পারেন, সেই প্রার্থনাও করছেন, ‘আশা করি ব্যাটটা দিয়ে সে যেন ভালো করতে না পারে এবং ফিরিয়ে দেয়।’