ইকার ক্যাসিয়াস ও তার বান্ধবী সাংবাদিক সারা কার্বোনেরো কথা মনে আছে? ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালে জেতার পর স্প্যানিশ অধিনায়ক ক্যাসিয়াসের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সারা । তবে পৃথিবীব্যাপী ঝড় তুলেছিল যে ব্যাপারটি সেটি হচ্ছে ক্যাসিয়াসের একটি চুম্বন। তেমনি এক মানিকজোড় মার্টিন গাপটিল এবং লরা ম্যাকগোল্ডরিক। টিভিতে নিউজিল্যান্ড – বাংলাদেশ সিরিজের ওয়ানডে শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান যিনি সঞ্চালনা করেন তিনি গাপটিল পত্নী লরা ম্যাকগোল্ডরিক।
লরা ম্যাকগোল্ডরিক পেশায় একজন স্কাই স্পোর্টস এর প্রেজেন্টার। তবে লরা ক্রিকেট যে খুব ভালো বোঝেন এমন নয়, আর তা সে নিজেই স্বীকার করেছেন। কিন্তু, খেলাটা তুলনামূলক কম জেনে বা বুঝেও পরিশ্রম আর স্মার্টনেস দিয়ে যে কাজের প্রশংসা পাওয়া যায়; তারই উদহারণ লরা ম্যাকগোল্ডরিক। ক্রিকেট দিয়েই ক্রিকেট দুনিয়ায় তার পরিচিতি।
ব্যাক টু ব্যাক হান্ড্রেড এর পর দুই দিনই স্বামীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লরা। যা ক্রিকেট দুনিয়ায় আর কখনো ঘটেনি। লরা বলেন, “সত্যিই ঘটনাটা খুবই স্পেশাল। পর পর দুইটা সেঞ্চুরি করলো মার্টিন আর দুই বারই আমি ওর সাক্ষাৎকার নিলাম। সবার আগে শুভ কামনা জানালাম। আর কয়জন স্ত্রী এভাবে পেরেছে জানি না। নিজেকে আসলেই ভাগ্যবতী মনে হয়।”
গাপটিলের সাথে লরার পরিচয় হয় ২০১১ তে একটি টিভি শো এর মাধ্যমে। এরপরে প্রণয় এবং ২০১৪ তে বিয়ে। মেয়ে হারলে লুইস গাপটিলের জন্ম দুই বছর আগে। হারলের জন্মের পরে দুজনের জীবনেও এসেছে অনেক বদল। লরা বলেন, “বাচ্চা হওয়ার পর আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে অবসর সময়ে আমরা কি করবো তা ঠিক করতে পারতাম না। ও আমাদের জীবনে অনেক আনন্দ নিয়ে এসেছে। গাপটিলকে নিয়ে আমি অনেক গর্বিত।”