ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে ৭ উইকেটে রড় জয় পেল গেইলরা। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারেই জয় তুলে নেয় ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচে ২৭ বল ৭৭ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন গেইল। ফলে সিরিজ ২-২ এ হয়। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যাক্ত হয়েছিল।
শনিবার রাতে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। দলীয় ১৬ রানে জনি বেইরস্টোকে বোল্ড করে প্রথম আঘাত আনেন শেলডন কটরেল। পাঁচ বল পরেই এক রান করে ফেরেন জো রুটও। ২ রানের ব্যবধানে ফিরে যান তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা রুট। ব্যাক্তিগত ১ রানে তাকে ফেরান হোল্ডার।
তৃতীয় উইকেটে অ্যালেক্স হেলস ও এউইন মরগান কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিচ্ছিলেন। দুজন যোগ করেন ৩৯ রান। দলীয় ৫৭ রানে কার্লোস ব্রাথওয়েটের বলে ২৩ রান করা হেলস তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানরা। উইকেটের পেছনে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।
এরপরই শুরু থমাস ‘ম্যাজিক’। দলীয় ৬৩ রানে মরগানকে থমাস ফিরিয়েছেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে। ফাইন লেগে কটরেলের হাতে তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় তার রান ছিল ১৮।
আগের ম্যাচে নায়ক জস বাটলার ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারকে সাথে নিয়ে আবার প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি থমাসের কারণেই। ইংল্যান্ডের শেষ ৬ উইকেট পড়েছে মাত্র ২৫ রানে!
৮৮ রানে ৫ উইকেট থেকে ১১৩ রানেই গুটিয়ে যায় রুটের দল। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয়েছে মাত্র ২৮ ওভার। পাঁচ ওভার বল করে থমাস নিয়েছেন ২১ রানে পাঁচ উইকেট।
ছোট রান তাড়া করতে নেমে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের হয়ে ঝড়ো সূচনা করেন গেইল। গেইল চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটালে অন্য ওপেনার ক্যাম্ববেলকে ১ রানে বিদায় করেন উড।
তবে গেইলের ২৭ বল ৭৭ রানের এক বিদ্ধোংশী ইনিংস ক্যারিয়ানদের জয়টা সহজ করে দেয়। দলীয় ৯৩ রানে গেইল ৫টি চার ও ৯টি ছক্কার ইনিংসের ইতি টানেন উড।
তবে এতে ক্যারিবিয়ানদের জয় আটকায়নি। ব্রাভা ৭ এবং হেটমায়ার ১১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ৩৮ ওভারে বাকি রেখেই জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওভারের হিসেবে এতো বড় ব্যবধানে আগে কখনোই হারেনি ইংল্যান্ড।