২৩ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেপবার্নের বিরুদ্ধে ঘুমন্ত এক নারীকে ধর্ষণের প্রমান পাওয়ায় তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে হেয়ারফোর্ড ক্রাউন কোর্ট। ইংল্যান্ডের উস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের এই অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে সতীর্থের রুমে এক ঘুমন্ত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
২০১৭ সালের এপ্রিলে ধর্ষণের ঘটনায় তিনি দোষী প্রমাণিত হন হেপবার্ন। এবং এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের যে জেল হবে তা বোঝা গিয়েছিল চলতি মাসের শুরুতে আদালতে ট্রায়ালের পর পরই।
উস্টারশায়ার ক্রাউন কোর্টে হেপবার্নের বিরুদ্ধে চারদিনের এক ট্রায়ালে উঠে এসেছে, ‘যৌনতা বিষয়ক’ ম্যাসেজ দিয়ে কিভাবে তিনি নারীদের বাগে এনে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। সতীর্থ জো ক্লার্ক তার এই জঘন্য কাজের সঙ্গী হিসেবে ছিলেন।
ঘটনার দিন সতীর্থ জো ক্লার্কের ঘরের মেঝেতেই ঘুমিয়ে ছিলেন সেই নারী। আর হেপবার্ন সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগান। ঢুকে পড়েন ওই ঘরে এবং মেয়েটির অজান্তেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তার সাথে।
প্রথমে ওই নারী ভেবেছিলেন জো ক্লার্কের সঙ্গে তার ঘুমের ঘোরে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু হঠাত করেই মিনিট দশেক পর হেপবার্নের মুখটি দেখে ভয় পেয়ে যান। এই ঘটনার পর তিনি মামলা করেন। তবে হেপবার্নের দাবি দুজনের মতামতের ভিত্তিতে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কটি হয়েছে।
সাজা ঘোষণার সময় বিচারক জিম তিন্ডাল বলেন, ‘আমি আপনার উপর এই শাস্তির আরোপ করছি জুরিদের রিপোর্টের ভিত্তিতে। তারা নিশ্চিত হয়েছেন, ধর্ষিতাকে ঘুম থেকে তুলেছিলেন আপনি। কিন্তু তিনি তখনও ঘুমের ঘোরে ছিলেন এবং ভেবেছিলেন আপনি জো ক্লার্ক। আপনি ভেবেছিলেন ওই নারীর জন্য আপনি সৃষ্টার উপহার। আপনি ওই নারীকে মাংসের টুকরো ভেবেছিলেন, একজন মানুষ হিসেবে সম্মান দেননি।