আর মাত্র দুই দিন পরেই শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলীয় ওপেন। তার আগেই টেনিস দুনিয়ায় তারকাপতন! এই টুর্নামেন্ট খেলেই ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইঙ্গিত জানালেন ৩১ বছর বয়সী অ্যান্ডি মারে। তবে ইনজুরি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে জুলাইতে উইম্বলডনে অংশ নিয়ে নেওয়ার আগ্রহের কথা জানালেন তিনি।
গত বছরের জানুয়ারীতে কোমরের অস্ত্রোপচার করার পর থেকে সেরে উঠতে বেশ কিছু দিন টেনিস থেকে দূরেও ছিলেন অ্যান্ডি মারে। এর পর সুস্থ হয়ে গত জুন থেকে মাত্র ১৪টা ম্যাচ খেলেছিলেন। এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ের ২৩০ নম্বরে থাকা মারের পরিকল্পনা ছিল আগামী জুলাইতে উইম্বলডনের ঘাসের কোর্ট থেকেই টেনিসকে বিদায় জানাবেন। তবে সে সাধ পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ইনজুরি সমস্যায় জর্জরিত মারের। ১৪ জানুয়ারি থেকে মেলবোর্নে শুরু হওয়া অস্ট্রেলীয় ওপেনে দিয়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার মেলবোর্নে সাংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই চোট-আঘাতের ব্যথা নিয়ে আর চার-পাঁচ মাসও খেলতে পারব কি না, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই।” এই কথাগুলো বলার সময়ই চোখ ছলছল করে ওঠে মারের। তিন বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজেতাকে দেখা যায়, বাঁ-হাত দিয়ে চোখের জল মুছছেন। ওই অবস্থাতেই নিজেকে সামলে ধরা গলায় বলে উঠলেন, “উইম্বলডনে গিয়েই থামতে চেয়েছিলাম। তবে আমি জানি না, সেটা করতে পারব কি না!”
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরেই মারের টেনিস মৌসুম শেষ হয়ে যায়। রি-হ্যাব বিশেষজ্ঞ বিল নোয়েলসের সঙ্গে সময় কাটিয়ে নিজেকে ম্যাচ-ফিট করে তোলাই লক্ষ্য ছিল তাঁর। তবে তাতেও যে কাজের কাজ হয়েছে, তা একেবারেই নয়। গত বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন পার্কে নোভাক জকোভিচের বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস ম্যাচে সেই পুরনো মারেকে খুঁজে পাওয়া য়ায়নি।
এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে এক সময় শীর্ষে থাকা মারে বলেন, “আমি এতটুকুও ভাল বোধ করছি না। বহু দিন ধরেই এই লড়াই চলছে। গত ২০ মাস ধরেই চোট-আঘাতের ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছি। এখনও বেশ ব্যথা রয়েছে। এখন আমি একটা লেভেল পর্যন্ত খেলতে পারছি। তবে সেটা আমার আগের লেভেলের খেলা মোটেও নয়।”
আগামী সোমবার ১৪ জানুয়ারি থেকে মেলবোর্নে শুরু হওয়া অস্ট্রেলীয় ওপেনের প্রথম রাউন্ডে ২২ নম্বর বাছাই স্পেনের রবের্তো বাউতিস্তা অগাতের বিরুদ্ধে নিজের সেরাটাই দিতে চান।