১৬ এপ্রিল দল ঘোষণার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে বিশ্বকাপের স্কোয়াড। আলোচনা সমালেচনা চলছে একাধিক ক্রিকেটারের দলে জায়গা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে। সেই তালিকায় একটি নাম তাসকিন আহমেদ।
২০১৭ সালের অক্টোবরে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়াও পর দলে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাসকিন। কিন্তু স্বরূপে ফিরতে পারলেন গেল ফেব্রুয়ারি বিপিএল আসর দিয়ে। ১২ ম্যাচে নিলেন ২২ উইকেট। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে ফেরা হলো না জাতীয় দলে।
এরপর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরার জন্য লড়াইটা থামাননি। এদিকে বিশ্বকাপ আসরে নিজের জায়গা করে নেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। নিজেকে ফিট প্রমাণের জন্য তাড়াহুড়ো করে ফিরলেন ঘরোয়া লিগ ডিপিএলে।
রূপগঞ্জের হয়ে ৫ ওভার বোলিং করে নিজের ফিটনেসের প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করেন তাসকিন। কিন্তু ম্যাচ খেললেও ফিটনেস নিয়ে প্রশ্নটা আবার সামনে চলে আসে। ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন শোনা যায় পূর্ণ ফিটনেস অর্জন করতে পারেননি এখনও?
জানা গেছে, তাসকিনের ফিটনেস নিয়ে গুঞ্জনটাই সত্যি। চোট থেকে সেরে ওঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেও এখনও নিজের শতভাগ দিতে পারছেন না ২৪ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ভাষ্য, ‘বিশ্বকাপ খেলার মতো অবস্থায় থাকলে তাসকিনকে অবশ্যই বিবেচনা করতাম। কিন্তু আনফিট খেলোয়াড়কে নিয়ে তো ইংল্যান্ড যেতে পারি না। সেরে ওঠার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার তার।’
তিনি জানিয়েছেন, পুরো ফিট হয়ে উঠতে অন্তত আরও পাঁচটি বোলিং সেশন দরকার তাসকিনের। এদিক থেকেও ঘাটতি ছিল তার। স্কোয়াডে ডাক না পেয়ে কান্না করেছেন, তাতে মন খারাপ হয়েছে তার ভক্তদের।
তবে নির্বাচকরা সব হিসেব নিকেশ করেই নিয়েছেন সিদ্ধান্ত। রূপগঞ্জের হয়ে যে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন ঐ ম্যাচেও ঠিকমত বল করতে পারছিলেন না তাসকিন। ঐ ম্যাচে প্রথম স্পেল শেষ করার পরেই বাঁ পায়ের ফলো থ্রুতে সমস্যা হচ্ছিল তার।
তবে নির্বাচক জানিয়েছে, সুপার লিগে তাসকিন যদি তার পুরনো ছন্দ ফিরে পান তাহলে বিশ্বকাপের স্কোয়ার্ডে জন্য বিবেচনা করা হবে। যেহেতু ২৩ মে তারিখের আগে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। এরপর স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার জন্য নিতে হবে আইসিসি অনুমতি।