আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩ঃ৩০ টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত।বিশ্বকাপে সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের। আর এজবাসস্টনের এই মাঠে টস জয় ম্যাচ জয়ের ফলাফলের উপর অনেকটা প্রভাব ফেলবে। কেননা এই মাঠেই গত রবিবারে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ইংল্যান্ড। আর ব্যবহৃত উইকেটে টস জিতে দু দলই ব্যাট নিতে চাইবে এমনটা মনে করেন মাশরাফি।
ভারতের চেনা উইকেটে খেলা সে ক্ষেত্রে ভারত বাড়তি কোনো সুবিধা পাবে কিনা-ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘দুই দল একই উইকেটে খেলবে। কেউ এখান থেকে বেনিফিট পাবে এমনটা ভাবা ভুল।ওরা আগের দিনে এই উইকেটে খেলে গেছে। আমার মনে হয় ভারতের স্পিন আক্রমণ অনেক শক্তিশালী।ইংল্যান্ডে পরিকল্পনা দেখে আমাদের পরিকল্পনা করা উচিত হবেনা। আমাদের শক্তি অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে।’
টস ম্যাচের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে সে ব্যাপারে তিনি বলেন,
“ব্যবহৃত পিচে টস এর দিকে সবাই তাকিয়ে থাকে। আমরা যে দলের সঙ্গে খেলব, তারা রান তাড়া করতে পছন্দ করে। ভারত আগে,কিংবা পরে, যখনই ব্যাট করুক, তারা দুই দিকেই শক্তিশালী। গতকাল ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম করেও ৩০৬ পর্যন্ত স্কোর টেনে নিয়েছে। টস জিতে ব্যাটিং করলে অনেক বড় স্কোরও করতে পারে।”
যেহেতু ব্যবহৃত উইকেট সবাই এখানে আগে ব্যাটিং করতে চায়। এটাই আসলে সাধারণ প্রক্রিয়া। অবশ্যই টস হেল্প করবে। তবে ভারতের বিপক্ষে কতটুকু সাহায্য করবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।”
বাঁচা মরার এই ম্যাচে জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে টাইগাররা। কেননা হারলে যে বিশ্বকাপে সেমির মিশন শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ মঞ্চে আগের তিন বার দেখা হয়েছিল এই দুই দলের সেখানে ভারত জিতেছে দুইবার ও বাংলাদেশ জিতেছে একবার।
ম্যাচ জয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মাশরাফি বলেন, “প্রত্যেকবার মুখোমুখিতে আমরা ভারতকে হারানোর চেষ্টা করি। যদিও ভারত অনেক শক্তিশালী দল। শেষ কয়েক বছর বিশ্বকাপে তারা বেশ ভালো দল। বর্তমান দলটা অনেক বেশি শক্তিশালী। সত্যি কথা বলতে আমরা মাঠে সেরাটা দিতে পারলে যে কোন কিছুই হতে পারে। আমাদের দিনে আমরা যে কাউকে হারাতে পারি। আমি জানি কাজটা কঠিন, তবে সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে অসম্ভব নয়।”
আজ ম্যাচে টসের পাশাপাশি প্রভাব ফেলতে পারে ফিল্ডারদের মাঠের সাথে তাড়াতাড়ি খাপ খাইয়ে নেওয়া। কেননা এজবাস্টনের এই মাঠটার একপাশে বাউন্ডারি ৫৯/৬০ মিটার আর এক পাশে বাউন্ডারি ৮২/৮৪ মিটার।আর ফিল্ডারদের ভালো ফিল্ডিং আর হাফ চান্স কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফলাফলে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।