ভারতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩১৫। এই ম্যাচে ভারতের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে এই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার স্বাদ পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরিসংখ্যান বলছে মুস্তাফিজ তিন বা তার অধিক উইকেট পাওয়া ম্যাচে কখনো হারেনি বাংলাদেশ।
টসে জিতে ভারতের হয়ে উদ্ধোধনী জুটির শুরুতেই রোহিত শর্মার ক্যাচ ফসকান তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে ৯ রান করা রোহিত শর্মাকে জীবন দান করেন তামিম। আর সুযোগ পেয়ে ভুল করেননি তামিম। ৪০ পঞ্চাশ করে থামেননি তিনি। মাত্র ৯০ বল থেকে চলতি বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন।
রোহিতের সেঞ্চুরিটি সাজানো তিনি ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায়। তবে ৯১তম বলেই সৌম্যর বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলনে ফেরেন রোহিত।
উদ্ধোধনী জুটিতে রোহিতকে সঙ্গ দেওয়া রাহুল বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন। দ্বিতীয় উইকেটে কোহলিকে নিয়ে নিজের অভিষেক সেঞ্চুরির প্রায় দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া রাহুলকে থামান রুবেল। ৩৩তম ওভারে ৯২ বল থেকে ৭৭ রান করা রাহুলকে উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।
কোহলি ও পান্থ তৃতীয় উইকেটে ৩৪ বল থেকে ৪২ রান যোগ করেন। এই জুটিকে দলীয় ২৩৭ রানে থামান মুস্তাফিজ। ২৬ রান করা কোহলিতে বাউন্ডারিতে ক্যাচ নিয়ে ফেরায় রুবেল। এক বলের ব্যবধানে কোহলির জায়গায় ব্যটা করতে আসা হার্দিক পান্ডেকে নিজের দ্বিতীয় শিখার বানান মুস্তাফিজ। ২ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সৌম্যকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলনে ফেরেন তিনি।
জোড়া উইকেট হারিয়ে পঞ্চম উইকেটে দলকে টেনে তোলেন ধোনি ও প্যান্ট। এই জুটিতে ৪০ রান তোলার পর ভয়ংকর হয়ে ওঠা প্যান্টকে ৪৮ রানে বিদায় করেন সাকিব আল হাসান। প্যান্ট ফেরার পর ৫০তম ওভারে ধোনিকে আউট করেন মুস্তাফিজ। ধোনি ৩৩ বল থেকে ৪টি বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করেন।
শেষ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে নয় উইকেটে ৩১৫ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৫৮ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। বিশ্বকাপে মুস্তাফিজ প্রথম বারের মতো পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন। বাকিদের মধ্যে সাকিব, সৌম্য ও রুবেল ১টি করে উইকেট নেন।