টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আজকের ম্যাচে দলীয় শতরান করার আগেই অলআউট হলো বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির সংস্করণে তালিকাটা সব মিলিয়ে ঠেকলো আটে গিয়ে যার মধ্যে বিশ্বকাপেই ৩ বার।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৩০ তম ম্যাচে টাইগারদের মাত্র ৮৪ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। তবে টি-টোয়েন্টিতে ৮৪ রান বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান নয়।
এর আগে স্বীকৃত ক্রিকেটের এই ছোট্ট সংস্করণে বাংলাদেশ সর্বনিম্ন স্কোর করেছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে। কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে সর্বনিম্ন ৭০ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় আজ অষ্টমবারের মতো একশর নিচে অলআউট হলো বাংলাদেশ দল। ব্যাটিংটা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন ভুলেই গেছে। যেমন মাঝে মধ্যেই ভুলে যায় বোলিং করাটাও। ফিল্ডিঙটার ব্যাপারে আর নাই বা বললাম। টাইগারদের ব্যাটিং দেখলে মনে হয় তাদের কোনো দায়িত্ব নেই, এমনকি নেই শট নির্বাচন করার কোনো ক্ষমতাও!
আর সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হলো পুচকে কোনো দলের বিপক্ষে জিতলেই টাইগারদের সমর্থকরাও খুশিতে ফেটে পড়ে। অতীত ভুলে কাছা মেরে নেমে পড়ে টাইগার বন্দনায়। তাতে বোঝা যায় সমর্থকদের সমালোচনা করার ক্ষমতাও খুব একটা নেই। তাঁদেরও দোষ দেয়া যায়না। থাকবেই বা কিভাবে! কারণ শুরু থেকে তারা পুঁচকে কেনিয়া আর জিম্বাবুয়ের কাছেই জিততে দেখেছে প্রিয় দলকে। আর অঘটন হিসেবে মাঝেমধ্যে বড় কোনো দল যেন নিরামিষভোজীদের আমিষের স্বাদ দিয়েছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে এসে টি-টোয়েন্টির আবহ খুব কমই পেয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কখনো পান ওয়ানডের আমেজ, আবার মাঝেমধ্যে টেস্টের। আজকের ম্যাচটাই দেখুন না! ১১০ বলে ৮৪ রান। টি-টোয়েন্টির যুগের টেস্টগুলো অনেকটা এমনই হয় এখন। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা নিজ দেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে বসলে যা মিস করেন তা হলো টি-টোয়েন্টি আমেজ।
আসলে নিজেকে হারিয়ে ফেলার খেলায় আপনি বার বার একই বৃত্তে ঘুরপাক খাবেন। আর টাইগারদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ই হচ্ছে। আজকের খেলায় মেহেদী হাসান একটু লড়াই করার চেষ্টা করেছেন । তবুও ২৫ বল খেলে তার সংগ্রহ মাত্র ২৭ রান। আর লিটনের চেষ্টাটাকে কি বলবো বুঝে উঠতে পারছিনা। ২৪ রান সংগ্রহ করতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি খরচ করেছেন ৩৬ বল। দৃষ্টিকটু নাকি প্যাথেটিক!
ক্রমাগত খারাপ খেলে যাওয়া বাংলাদেশ দলের আজকের খেলা থেকে প্রমান হয় দলের ভেতরটা যেন ফাঁপা, ক্রিকেটাররা যেন আর খেলার ভেতরে নেই।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান
৭০- নিউ জিল্যান্ড
৭৬- নিউ জিল্যান্ড
৭৬- নিউ জিল্যান্ড
৭৮- নিউ জিল্যান্ড
৮৩- শ্রীলঙ্কা
৮৪- দক্ষিণ আফ্রিকা
৯৬- দক্ষিণ আফ্রিকা
৯৮- ওয়েস্ট ইন্ডিজ