চলতি বছরের আগষ্ট থেকে শুরু হচ্ছে দুই বছর মেয়াদী টুর্নামেন্ট টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ। নতুন এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াচ্ছে ১লা আগষ্ট থেকে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার অ্যাসেজ সিরিজ দিয়ে। মাত্র একদিন পরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম আসরের যাত্রা শুরু হতে গেলেও এই আসরের নিয়ম কানুন নিয়ে অনেকেই অজ্ঞ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক টেস্ট চ্যাম্পিয়শীপের নিয়ম গুলো সম্পর্কে
# ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে ২০২১ সালে জুন মাস পর্যন্ত আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৯টি দল নিয়ে হবে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।
# আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৯টি দল অন্তত ৬টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে- তিনটি হোম সিরিজ, তিনটি অ্যাওয়ে সিরিজ। এই সিরিজগুলিতে নূন্যতম ২টি এবং সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট খেলবে প্রতিটি দল।
# এই দুই বছরে ৯টি দল মোট ২৭টি সিরিজ খেলবে। ফাইনাল নিয়ে মোট ম্যাচের সংখ্যা ৭২টি।
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট পদ্ধতি-
১. পাঁচ টেস্টের সিরিজে প্রতি ম্যাচে জিতলে ২৪ পয়েন্ট পাবে জয়ী দল। টাই হলে ১২ পয়েন্ট এবং ড্র হলে ৮ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি হবে।
২. চার টেস্টের সিরিজ হলে ম্যাচ পিছু জয়ী দল পাবে ৩০ পয়েন্ট। টাই হলে ১৫ এবং ড্র হলে ১০ পয়েন্ট করে পাবে দুটি দল।
৩. তিন টেস্টের সিরিজে ম্যাচ জিতলে সেই দল পাবে ৪০ পয়েন্ট। আর টাই হলে ২০ এবং ড্র হলে ১৩ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করে নেবে দুটি দল।
৪. দুটি টেস্টের সিরিজ হলে একটি টেস্ট জিতলেই ৬০ পয়েন্ট পাবে জয়ী দল। টাই হলে ৩০ এবং ড্র করলে জুটবে ২০ পয়েন্ট করে।
কিন্তু আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল যদি ড্র কিংবা টাই হলে চ্যাম্পিয়ন কীভাবে নির্ধারিত হবে?
# লিগ পর্বের শেষে যে দলের পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি থাকবে ফাইনাল ম্যাচ ড্র কিংবা টাই হলে তাকেই জয়ী ঘোষণা করা হবে।
# এই দুই বছরে ৯টি দল ৬টি করে সিরিজ খেললেও প্রতিটি দলের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা ভিন্ন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কোন দল কটি করে টেস্ট ম্যাচ খেলবে-
ইংল্যান্ড – ২২, অস্ট্রেলিয়া – ১৯, ভারত – ১৮, দক্ষিণ আফ্রিকা – ১৬, ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৫
নিউ জিল্যান্ড – ১৪, বাংলাদেশ – ১৪, পাকিস্তান – ১৩, শ্রীলঙ্কা – ১৩।