হুম, সব কিছু ঠিক থাকলে ১ আগস্ট এজবাস্টনে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টেস্টের মাধ্যমেই দেখা যেতে পারে এই দৃশ্য। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪২ বছরের ঐতিহ্যে আগে কখনো যা হয়নি সেটাই হতে পারে আসন্ন এশেজে।
তবে তার জন্য আইসিসির ক্রিকেট কমিটির অনুমোদন লাগবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (CA) এবং ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ECB) এরই ভেতর আইসিসির কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়ে দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড যেহেতু টেস্ট ক্রিকেটের “বাবা-মা” বলা যায় তাই তাদের এই অনুরোধ না রাখার কোন কারন দেখছেনা প্রভাবশালী ব্রিটিশ মিডিয়া “দ্য গার্ডিয়ান”। চমকে দেয়া এই খবর প্রকাশ করেছে তারাই।
টেস্ট ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করতে ইদানীং নতুন নতুন অনেক কিছুই চালু করা হচ্ছে এবং হবে। তারই ধারাবাহিকতায় দর্শক এবং ধারাভাষ্যকারদের সুবিধার জন্য টেস্ট জার্সিতে কালো কালিতে নাম এবং নাম্বার চালুর প্রস্তাবনা দিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের আদিমতম দুই বোর্ড।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকে কাউন্টি ক্রিকেটের চারদিনের ম্যাচের জার্সিতে নাম এবং নাম্বার লেখার প্রচলন শুরু হয় যেটা ব্রিটিশ মিডিয়া এবং দর্শক বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করে। এমনিতে ব্রিটিশদের সুনাম (নাকি দুর্নাম?) রয়েছে যে তারা সহজে নতুন কিছু গ্রহণ করতে চায়না! মানে “ট্রেডিশনালিস্ট”।
১৮৭৭ সালে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের পর থেকেই টেস্ট ক্রিকেট খেলা হয় সাদা বা ক্রিম রঙের জার্সিতে। অনেক সময় বুকের কাছে প্লেয়ারের সিরিয়াল নাম্বার (দেশের হয়ে কততম টেস্ট প্লেয়ার) উল্লেখ করা হলেও জার্সির পেছনে কিছু লেখা হয়নি কখনোই।
সত্তরের দশকের শেষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা ওয়ানডে গুলোতে রঙিন জার্সির প্রচলন শুরু হয় প্রথম। ‘৯২ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো রঙিন জার্সি ব্যবহার করে সব দল।
যাইহোক আইসিসি অনুমোদন দিলে প্রায় দেড়শ বছরের ট্রেডিশন ভেঙে দিবে সেই দুই দলই যারা এটার শুরু করেছিলো!