শুক্রবার বিপিএলে ঢাকা ও সিলেটের মধ্যকার ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধািন্ত নিয়েছিল ওয়ার্নার বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করে ওয়ার্নারের ঝড়ো অর্ধশতকে ভর করে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান তুলেছে তারা।
সিলেটের হয়ে আজও উদ্ধোধনী জুুটিতে লিটনকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন সাব্বির রহমান। দলকে ভালো শুরু এনে দেন তারা। তবে ৩৮ রানের ফিরে যান এই দুই ব্যাটসম্যান। ১৪ বল থেকে ২৭ রান করে সাকিবের বলে আউট হন লিটন। এদিকে ১৬ বল থেকে ১১ রান নিয়ে রাসেলের বলে আউট হন সাব্বির।
তৃতীয় উইকেটে আফিফ ও ওয়ার্নার ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন। এই জুটিতে আসে ৪০ রান। দলীয় ৭৮ রানের সময় ১৭ বল থেকে ১৯ রান নিয়ে ফেরেন আফিফ। আফিফের বিদায়ের পর দলীয় ১ রানের ব্যবধানে শুন্য রানে ফেরেন কাপালি।
পঞ্চম উইকেটে ব্যাট করতে নামা নিকোলাস পরান এদিন ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ। নারিনের বলে ৬ রানে আউট হন তিনি। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ওয়ার্নারকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের আলী। ইনিংসের ১৮তম ওভারে ওয়ার্নার ৩৭ বল থেকে অর্ধশতক তুলে নেন। আগের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষেও অর্ধশতক হাকিয়েছিলেন তিনি।
অপর প্রান্তে থাকা জাকের আলীও এদিন ছন্দে ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ২৯ বল থেকে ওয়ার্নার ও জাকের পঞ্চাশ রানের জুটি পূরণ করেন। তবে দলীয় ১৪৯ রানের সময় সাকিবকে ব্যাক টু ব্যাক ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে নিজের উইকেট হারার ওয়ার্নার। ৪৩ বল থেকে ৬৩ রান করেন তিনি। এতে আফিফ ও ওয়ার্নারের ৬৩ রানের জুটিরও সমাপ্তি হয়।
ওয়ার্নার ফিরে গেলেও তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসার চেষ্টা করেন জাকির। তবে ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে ১৭ বল থেকে ২৫ রান করে ক্যাচ আউট হন জাকের। ৮ উইকেটে হারিয়ে ১৫৮ রানে শেষ হয় সিলেটের ইনিংস।
ঢাকার হয়ে বার্চ ৪২ রানে নেন ৩টি উইকেট। ৩৪ রানে সাকিব নেন ২টি উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন রুবেল, নারিস ও রাসেল। এদিন ১ ওভার বল করে মাত্র ২ রান দিয়ে হ্যামস্টিং ইনজুরি নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেন আলিস।