বিপিএল ষষ্ঠ আসরে গ্রুপ পর্বের শেষের শুরু ঢাকায়। আজ দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে হেরে ব্যাটিংয়ের নামে কুমিল্লা। কিন্তু তামিম ইকবালের ৩৮ রান ছাড়া কেউই বড় রান পাননি। শেষ দিকে ছোটো ছোটো জুটিতে ১২৭ রান তুলতে পারে কুমিল্লা।
টসে হেরে তামিমের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে আসেন ইভিন লুইস। তামিম এদিন প্রথম ওভারেই শাহাদাতকে জোড়া বাউন্ডানি মেরে ইনিংসের শুরু করে। তামিম দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারলেও অন্য প্রান্তে থাকা লুইস অতিরিক্ত ডট বল খেলার প্রবণতায় ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে নারিনের বলে আউট হয়ে প্যাভিলনে ফেরেন। এ সময় কুমিল্লার স্কোর ৩৮ রান। যার মধ্যে ৩০ রানই আসে তামিমের ব্যাট থেকে।
লুইসের বিদায়ের পর পরই ওভারেই দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করেত আসা বিজয় শুন্য রানেই বিদায় নেন। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার এক ওভার পরেই বড় ধাক্কা খায় কুমিল্লা। এ সময় শুভগত হোমের বলে বাউন্ডারিতে তামিমের ক্যাচ নেন রুবেল হোসেন। ২০ বল থেকে ৩৮ রানে ঝড় তুলে ফিরতে হয় তামিমকে। তার ইনিংসটি ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ছিল।
তামিম বিদায়ের সময় কুমিল্লার রান ছিল ৫২। এর পর ৩ রানের ব্যবধানে শামসুর রহমানকে(২) এলবিডাব্লিউ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেত পাঠান সাকিব। ইনিংসের ১১তম ওভারে কায়েস ৭ রানে ফিরলে কুমিল্লার স্কোর দাঁড়ায় ৬৪ রানে পাঁচ উইকেট।
ষষ্ঠ উইকেটে ইনিংসে মেরামতের চেষ্টা করেন আফ্রিদী ও পেরেরা। এই জুটিতে ১৯ রান তোলার পর নারিনের দ্বিতীয় শিকার হন আফ্রিদি। ১৭ বল থেকে ১৮ রান করেন আফ্রিদি। ২ রানের ব্যবধানে দলীয় ৮৫ রানে আউটে কাটা পড়েন সাইফুদ্দিন।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে রুবেলের করা প্রথম বলেই থিসারা পেরেরা ফিরে গেলে অল আউটের শঙ্কায় পড়ে কুমিল্লা। এ সময় উইকেটের পেছনে বাম পার্শে ডাইভ দিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন সোহান।
নবম উইকেটে ওয়াহাব রিয়াজ ও মাহাদী হাসান ২২ রানের জুটিতে কুমিল্লার স্কোর একশো পেরোয়। দলীয় ১০৯ রানে ১২ বল থেকে ১৬ রান করে রুবলের বলে ওয়াহাব ক্যাচ দিয়ে ফিরবে নবম উইকেট হারায় কুমিল্লা।
শেষ উইকেটে মাহাদি ও মোশারফ রুবেল জুটিতে ১৮ রান তোলে কুমিল্লা। এ সময় ইনিংসের শেষ বলে মাহাদিকে ২০ রানে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন রুবেল। ফলে সবকটি উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৭ রান।
এদিন ৩০ রানে রুবলের ৪ উইকেট শিকার ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন নারিন ও সাকিব। ১টি উইকেট নেন শুভাগত হোম।