বিপিএল ষষ্ঠ আসরে দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করে কুমিল্লার করা ১৯৯ রানের জবাবে ১৮২ রানে শেষ হয় ঢাকার ইনিংস। কুমিল্লা জয় পায় ১৭ রানে। এর আগে ২০১৫ সালে মাশরাফির নেতৃত্বে প্রথম বিপিএল ট্রফি জিতেছিল তারা।
কুমিল্লার দেওয়া ১৯৯ রানের জবাবে শুরুতেই নারিনের উইকেট হারায় ঢাকা। শূন্য রানে সাইফুদ্দিনের থ্রোতে রান আউট হন নারিন। তবে এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা রনি তালুকদার ও অন্য ওপেনার উপুল থারাঙ্গা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। শুরুর ৬ ওভার থেকেই তারা তোলেন ৭১ রান।

তারা দুজনে মিলে দলকে এনে দেন ১০২ রানের জুটি। যেখানে ২৬ বল থেকে চলতি বিপিএল আসরের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রনি তালুকদার। তার ইনিংসটি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল। তার সঙ্গে অন্য প্রান্তে থাকা থারাঙ্গা খেলেন নিজের ছন্দে। এই জুটিতে তিনিও এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফ সেঞ্চুরি দিকে। তবে দলীয় ১০২ রানে তাদের রণে ভঙ্গে দেন থারাঙ্গার স্বদেশী থিসারা পেরেরা। ইনিংসের নবম ওভারে তার বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ২৭ বল থেকে ৪৮ রান করে ফিরে যান।
তৃতীয় উইকেটে ক্রিজে আসেন সাকিব। তবে ফাইনালের মঞ্চে নিজের উইকেট দিয়ে আসলেন তিনি। দলীয় ১২০ রানের সময় ওয়াহাবের বলে বড় শর্ট খেলতে গিয়ে সার্কেলের মধ্যেই ৩ রানে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান।

এরপরেই ঢাকার শিবিরে ছন্দ পতন। দলকে জয়ের পথে রাখা রনি সাকিবের বিদায়ের ১ রানের ব্যবধানে বিজয়ের ফ্রোতে রান আউট হন। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৮ বল থেকে ৬৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে ফিরে যান রাসেল ও পোলার্ড। দলীয় ১৩২ রানে রাসেল ৩ রানে পেরেরার বলে আউট হন রাসেল। আর দলীয় ১৪১ রানে পোলার্ড ১৩ রানে ফিরলে ষষ্ঠ উইকেট হারায় ঢাকা।
শেষ ২৪ বলে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৫৭ রান। তবে এ সময় সাইফ তার প্রথম বলেই শূন্য রানে হোমকে বিদায় করেন। এরপর সোহান ১৫ বলে ১৮ এবং মাহমুদুল ৮ বলে ১৫ রান করলেও ম্যাচ জয়ের জন্য তা যঠেষ্ট ছিল না। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানে ঢাকার ইনিংস শেষ হয়।

বল হাতে কুমিল্লার হয়ে এদিন পেরেরা ৩৫ রানে ২টি উইকেট নেন। ওয়াহাব ২৮ রানে নেন ৩টি উইকেট। ৪৫ রান খরচে সাইফুদ্দীন নেন ২টি উইকেট।