হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ২৩৪ রানে শেষ হলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে এদিন তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি ছাড়া অন্য কেউই বড় রান তুলতে পারেননি। ৪৮ ওভার ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুতে নিউজিল্যান্ড টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধন্ত নেয়। উদ্ধোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও ইবাদত ৫৭ রান তোলেন। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সাদমান ২৪ রানে বোল্টের শিকারে পরিণত হন।
দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও মোমিনুল দলকে তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে যান। দলীয় ১২১ রানের সময় এই জুটিতে মোমিনুলকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ওয়াগনার। ৪৬ বল থেকে ১২ রান করে আউট হন মোমনিল।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা মিঠুনকে নিয়ে নতুন জুটি গড়েন তামিম। তবে দুই অঙ্কের ঘরে রান তোলার আগেই বিদায় নেন তিনি। ২৪ বল থেকে ৮ রান করে ওয়াগনারের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ২ রানের ব্যবধানে দলীয় ১৪৯ রানে সৌম্য উইকেটে পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।
পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। ১০০ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। এটি বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে চতর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩১ রান তোলার পর তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গ্রান্ডহোমের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ১২৮ বল ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি ২১টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো ছিল।
ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদুল্লাহর ও লিটন দলকে দুইশোর কোটা পার করায়। তবে চা বিরতির ঠিক আগে মাহমুদুল্লাহ ও মিরাজ তুলে নিয়ে বাংলাদেশের বড় ধাক্কা ওয়াগনার। মাহমুদুল্লাহ ২২ এবং মিরাজ করে ১০ রান। ২১৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে যান বাংলাদেশ।
চা বিরতি থেকে ফিরে ১৭ রানে মধ্যে বাকি তিনটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে ৫৮ বল থেকে ২৯ রান করলে বাংলাদেশ ২৩৪ রানে অলআউট হয়।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়াগার ৫টি ও সাউথি ৩টি করে উইকেট নেন। গ্রান্ডহোম ও বোল্ট নেন ১টি করে উইকেট।