চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) কোনো দল পাননি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডানহাতি পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব। আর এজন্য প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন তিনি।
সাবেক টাইগার পেসারের অভিযোগ, তার জায়গায় তৃতীয় শ্রেণির একজন পেসার নেওয়া হয়েছে দলে, তবু তিনি দল পাননি বিসিএলে।
সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহদাত বলেন, `সবচেয়ে দূর্ভাগ্যজনক একটা বিষয়, সেটা হলো আমাদের সিনিয়র কিছু ক্রিকেটার আছে, যাদের জন্য সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়। যেমন আপনারা যেটা জানেন না, ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটে আমার জায়গায় একটা থার্ড ডিভিশনের ফাস্ট বোলার ঢুকানো হইছে। তো আমি যখন বলছি থার্ড ডিভিশনের খেলোয়াড়টা কেন, কারণ কি?’
`ফার্স্টক্লাসটা এতো সহজ কোনো খেলা না, যে আপনি থার্ড ডিভিশনের বা সেকেন্ড ডিভিশনের একটা খেলোয়াড় ঢুকিয়ে দিবেন! আমরা তো অনেক কষ্ট করে আজকে এই জায়গাটাতে আসছি। আসার পর এইখানে খেলতেছি এবং এইখান থেকেই তো জাতীয় দলে ঢোকা। তো এইটা নিয়ে আমার ডিভিশনের সাথে কথা হইছে। তারা আমাকে কোনো উওর দেয়নি এরকম কোনোকিছু। তো তারপর আমি আর কিছু বলি নাই।’
শাহদাতের অভিযোগ সিনিয়র কিছু ক্রিকেটারদের প্রতি অবিচার হয়ে আসছে বেশ আগে থেকেই। তাই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিসিবির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, `ব্যক্তিগতভাবে আমাদের ঢাকা ডিভিশন ভালো খেলছে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ঢাকা ডিভিশনে কিছু কিছু ক্রিকেটার আছে, যে সিনিয়র কিছু ক্রিকেটারদের উপর বেশি ক্ষোভ আছে। এটা আগে থেকেই ছিল রেষারেষিটা।’
কিন্তু আমি ক্রিকেট বোর্ডকে বলবো, `যেহেতু ফার্স্টক্লাস ক্রিকেট বিসিবি থেকে হয়, এইটা কোনো ডিভিশনের খেলা না। এইটা বিসিবি থেকে মেইন্টেন করে। তো আমি সবসময় ওনাদের কাছে একটা কথা বলবো আপনারা নিজেরা দল করে দিবেন। কারণ আমি যখন আমাদের অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরীকে জিজ্ঞাস করছিলাম, তখন সে আমাকে সরাসরি বলছে, ‘নান্নু ভাই তোকে রাখেনি।’ তারমানে কি আমি ক্রিকেট খেলবো না? আমার কি বয়স হয়ে গেছে? আমি কি অবসরে চলে যাবো?